Last Updated: January 5, 2012 09:37

সাম্প্রতিক একাধিক ইস্যুতে টানাপোড়েনের পর এবার দুই শরিক কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র কাজিয়া। দুপক্ষই পরস্পরকে সিপিআইএম-এর বি টিম বলে তোপ দেগেছে। সব মিলিয়ে তিন বছর আগে সিপিআইএমকে হটাতে গড়ে ওঠা হাত-জোড়াফুলের রাজনৈতিক বোঝাপড়ার ভবিষ্যত্ এখন নতুন প্রশ্নচিহ্নের মুখে।
এই প্রসঙ্গেই বুধবার সরাসরি মেট্রো চ্যানেলের গণ অবস্থান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। সংসদে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ ও লোকপাল বিল বিতর্কের সময় তৃণমূল সাংসদদের ভূমিকা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে ইউপিএ জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। সরাসরি তৃণমূলকে সিপিআইএম-এর বি টিম বলেও চিহ্নিত করেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী জায়া।

জবাবে দীপা দাশমুন্সি সহ প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে সিপিআইএমের দালাল হিসেবে বর্ণনা করে তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের `আশীর্বাদ` না পেলে এ রাজ্যে এক জন কংগ্রেস নেতা-নেত্রীও লোকসভা-বিধানসভায় নির্বাচিত হতে পারবেন না। শুধু জবাবী বিবৃতিতে রাজনৈতিক ভূমিকা সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠে নেমে শক্তি প্রদর্শন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী ৯ জানুয়ারি ধর্মতলায় পাল্টা সমাবেশ ডেকেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস।
অন্য দিকে তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে বুধবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ইন্দিরা ভবন সংক্রান্ত বক্তব্যে ছিল ধর্মীয় মেরুকরণের সূর। নজরুল ইসলামকে এক জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কবি হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে মুসলিম বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। ইন্দিরা ভবন বিতর্কে একদা বিজেপি`র জোটশরিক তৃণমূল নেতৃত্বের এই অবস্থানকে বিশেষ তাত্পর্পূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
First Published: Thursday, January 5, 2012, 12:51