জাত-রাজনীতির বদলে যাওয়া সমীকরণই ভরসা কংগ্রেসের

জাত-রাজনীতির বদলে যাওয়া সমীকরণই ভরসা কংগ্রেসের

জাত-রাজনীতির বদলে যাওয়া সমীকরণই ভরসা কংগ্রেসেরসমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায় না কোনও দলই। কারণ তারা জানে ভোট আসবে জাতপাতের রাজনীতির হাত ধরেই। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে এমন সমীকরণই উঠে আসছে বারবার। আর এই জাতপাতের রাজনীতির হাত ধরেই এবারের ভোটে একটু হলেও এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। যা কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছে `বহেনজি` মায়াবতীকে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কুশীনগর গৌতম বুদ্ধের প্রয়াণস্থল। আর কুশীনগরের গৌতম বুদ্ধের মন্দিরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় এখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ। অথবা বলা ভাল ভোটের অঙ্ক।

এই কেন্দ্রটি থেকে লড়ছেন বহুজন সমাজ পার্টি-র রাজ্যসভাপতি স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। আশপাশের গ্রামের দলিত বাচ্চাদের নিয়ে এসে স্কুল চালানো থেকে শুরু হয় ধর্মীয় রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রথম পাঠ। এই শিশুদের পড়াশোনার অধিকাংশ খরচাই বহন করে এই মন্দির কর্তৃপক্ষ। আসলে উত্তরপ্রদেশের তীব্র জাতপাতের রাজনীতিতে এইধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অসীম। আর এই জাতপাতের রাজনীতির অন্যতম ট্রামকার্ড হল দলিতরাই। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলিত, ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয় ভোটব্যাঙ্কের বড় অংশ নিজেদের দিকে টেনে কেল্লাফতে করেছিলেন বিএসপি সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। এবার কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এই জাতপাতেরসমীকরণ?

ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৫ শতাংশ দলিত ভোট নিয়ে এবার কিন্তু যথেষ্ট চিন্তিত মায়াবতী। তাঁদের মতে মাত্র ১০ শতাংশ দলিত ভোট আর ৬ শতাংশ ক্ষত্রিয় ভোটের বাক্স বদল হলে ১৭২টি আসনের ভোটচিত্র বদলে যাবে। কংগ্রেস ১০০-এ পা রাখার যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে তার পিছনে রয়েছে কিন্তু এই দলিত ভোটারদের পাশে পাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও মায়াবতীর হাতের শেষ অস্ত্র বিজেপির জমানার দাঙ্গা। ফলে দলিত ভোট হারানোর আশঙ্কায় মুসলিম ভোট টানার মরিয়া প্রয়াস শুরু করেছে তারা। যদিও সাধারণ ভোটাররা এসব দেখে অত্যন্ত বিরক্ত। এইসব সমীকরণ নিয়েই  উত্তরপ্রদেশের ভোট।

First Published: Friday, February 3, 2012, 15:47


comments powered by Disqus