Last Updated: December 12, 2012 18:42

বিধানসভার গেটের বাইরে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিধায়করা। গতকাল অধিবেশন চলাকালীন তাণ্ডবের প্রতিবাদে, বিধানসভার দক্ষিণ গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী এবং অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন। দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী এবং সাবিনা ইয়াসমিন।
সেইসময় বিধানসভার অধিবেশন শেষে দক্ষিণ গেট দিয়েই বের হচ্ছিলেন তৃণমূলের বিধায়করা। তখন বিক্ষোভকারীদের গেট ছেড়ে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা না সরায় বচসা বেধে যায়। গাড়ি থেকে নেমে কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়করা। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে শাসকদলের বিধায়করা পুলিস ডাকেন। অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিস বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে তৃণমূল বিধায়কদের জন্য রাস্তা করে দেয়।
অন্যদিকে, এদিন বিধানসভায় বিক্ষোভে সামিল হম বামারাও। অনুরোধ স্বত্বেও তিন বাম বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার করেননি না অধ্যক্ষ। আজ বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই সভার কাজ বন্ধ রেখে আগে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানান বামেরা। অধ্যক্ষ সেই দাবি না মানায় ওয়াকআউট করেন বাম বিধায়করা। গতকালের মারপিটের ঘটনার প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে আজ হেলমেট মাথায় বিধানসভায় ঢোকেন কংগ্রেস বিধায়করা। পরে অধ্যক্ষের অনুরোধে হেলমেট খুলে রাখলেও, সভার কাজ বন্ধ রেখে সর্বদল বৈঠকের দাবি তোলেন তাঁরা। এরপর কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে বিদ্যুতে ভর্তুকি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। বিদ্যুতমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে উঠলে আচমকা বিদ্যুত চলে যায় সভায়। হট্টগোলের মাঝে কংগ্রেসের মুলতুবি প্রস্তাবের দাবি খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। দুপুর দু`টো নাগাদ সর্বদল বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ। কিন্তু সাসপেনসন প্রত্যাহারের দাবি না মানায় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাম বিধায়কেরা।
First Published: Wednesday, December 12, 2012, 18:42