Last Updated: August 11, 2012 20:51

ইঙ্গিত ছিল আগেই। তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভেঙে পঞ্চায়েত নির্বাচনে একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিল প্রদেশ কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে বৃহস্পতিবার বিধানভবনে প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মসমিতির বর্ধিত সভা বসে। দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক সহ সমস্ত নেতৃত্বই পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যে দুই শরিকের মধ্যে বিভেদ ক্রমশ তীব্র হচ্ছিল। প্রকাশ্যে একে অপরের বিরোধিতা করতেও ছাড়েননি দু`দলের শীর্ষ নেতারা। এই বৈরীতার সম্পর্কের জেরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। বৈঠক শেষে প্রদেশ সভাপতি বলেন, "প্রদেশ কংগ্রেস তার নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তিতে সম্পূর্ণ ভাবে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত।"
একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ মঞ্চ থেকে তৃণমূলের একলা চলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কংগ্রেসের কাছে বিকল্প পথ ছিল না। বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত নেতারাই একা লড়ার পথেই মত দেন। সর্বশক্তি নিয়োগ করে জেলাকেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রদীপবাবু বলেন, "একক ভাবেই লড়াই করার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।"
পাশাপাশি পঞ্চায়েতগুলিতে চলতে থাকা অরাজকতা নিয়েও এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সমালোচনা করা হয়। দোষী পঞ্চায়েত গুলোর বিরুদ্ধে রাজ্যসরকারের কঠোর হওয়ারও দাবি জানান প্রদীপবাবু। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা সন্ত্রাস মুক্ত হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দীপা দাশমুন্সি বলেন, "সন্ত্রাসটা আরও বাড়বে।" সন্ত্রাস হলে ময়দান ছেড়ে নয় বরং রাস্তায় নেমে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করা হবে বলে দীপা দাশমুন্সি জানান।
শুধুমাত্র জোট ভেস্তে দিয়ে একক নির্বাচনই নয়, একাধিক প্রদেশ নেতার প্রস্তাব মতো রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাস্থ্য, শিক্ষা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস। এমনকি কংগ্রেস কর্মীদের জেলায় জেলায় রাজ্য সরকারের বিরধিতায় রাস্তায় নামারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠক থেকে।
First Published: Saturday, August 11, 2012, 20:51