Last Updated: December 14, 2012 21:47

কলকাতা পুলিসের কনস্টেবল পদের পরীক্ষায় ফের বিতর্ক। উঠল দুর্নীতির অভিযোগও। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রার্থীরা। মাঠে প্রশংসাও কুড়োলেন অনেকে। মাঠেই ব্যাজ নম্বর লেখা সাদা কাগজে টিক মেরে অনেককে জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁরা উত্তীর্ণ। কিন্তু, লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডের খোঁজ করতেই বেরিয়ে এল অন্য তথ্য। জানানো হল, তাঁরা শারীরিক পরীক্ষায় পাসই করেননি।
পরিমল হালদার, পল্টু দাস, আবদুল মান্নান, শেখ ফজলুল হক, চিন্ময় ধারা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা এঁরা সকলেই কলকাতা পুলিসে চাকরি প্রার্থী। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাও দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সেসময় মাঠে তাঁদের উত্তীর্ণ জানানো হলেও লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পাননি।
পরীক্ষার্থীদের দাবি, শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষার সময় একটি সাদা কাগজে ব্যাজ নম্বর লিখে টিক চিহ্ন দিয়ে তাঁদের জানানো হয়েছিল তাঁরা উত্তীর্ণ। কিন্তু, পুলিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি তাঁরা।
রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিস থেকে শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার রেজাল্টের যে কপি প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে, তাও অসম্পূর্ণ। এমনকি, তাতে কারচুপিরও অভিযোগ রয়েছে। এই অস্বচ্ছতা থেকে উঠছে দুর্নীতিরও অভিযোগ।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিসে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। মরিয়া হয়ে এখন মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছেন, অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়া প্রার্থীরা।
কলকাতা পুলিসের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। মাস কয়েক আগেই, কনস্টেবল পদে নিয়োগের পরীক্ষা দিতে গিয়ে তীব্র গরমে মৃত্যু হয়েছিল এক তরুণের। কর্মরত অবস্থায় প্রাণ হারানো পুলিস কর্মীদের পরিবারের লোকেদের চাকরি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি রাজ্য সরকার দিয়েছে তাও সবক্ষেত্রে পালন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পার্ক স্ট্রিট থানার আত্মঘাতী পুলিসকর্মীর পরিবারের লোকেরা চাকরি পেলেও অনেক নিহত পুলিসকর্মীর পরিবারেই পৌঁছয়নি সরকারের সেই সহযোগিতা। যদিও, সাম্প্রতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই পুলিস প্রশাসনের কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
First Published: Friday, December 14, 2012, 21:47