রাজনীতির আঙিনাকে অপরাধমুক্ত করতে আইনের কড়া চাবুক

রাজনীতির আঙিনাকে অপরাধমুক্ত করতে আইনের কড়া চাবুক

রাজনীতির আঙিনাকে অপরাধমুক্ত করতে আইনের কড়া চাবুক  রাজনীতিতে দুষ্কৃতীরাজ ঠেকাতে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাংসদ ও বিধায়কদের পদত্যাগ করতে হবে। জেল থেকে ভোট লড়া যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এমনকী, আইনের ফাঁক গলে অভিযুক্ত বিধায়ক ও সাংসদরা শীর্ষ আদালতের দারস্থও হতে পারবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার এ কে পট্টনায়ক ও এস জে মুখোপাধ্যায়ের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, "অভিযোগ দায়ের হওয়ার দিন থেকেই অভিযুক্তদের পদচ্যুত করতে হবে।" তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে আপিল করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে নতুন আইন লাগু হবে না।

মামলাকারীদের তরফে সওয়াল করা হয়, অভিযুক্ত সাংসদ, বিধায়কদের পদে রেখে দাওয়ার অর্থ অপরাধকে প্রাধান্য দেওয়া। যা সরাসরি সংবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করেন তাঁরা।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিবল বলেন, "আমরা রায় পড়ে, আলোচনা করব।" রাজনীতির দুর্নীতিমোচনকারী এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রেনুকা চৌধুরী। অন্যদিকে, প্রতিক্রিয়া মিলেছে বিজেপি শিবির থেকেও। রবিশঙ্কর প্রসাদ মন্তব্য করেছেন, "রাজনীতিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্ঠাকে বিজেপি সাধুবাদ জানায়।"

তবে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের সমালোচনা করেছেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, "এ ভাবে পদ থেকে সরানো যায় না জনপ্রতিনিধিদের।" তিনি আরও বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট ইচ্ছা প্রকাশ করতেই পারে। নির্দেশ দিতে পারে না।"

First Published: Wednesday, July 10, 2013, 18:00


comments powered by Disqus