Last Updated: February 16, 2013 18:02

কলকাতা পুলিসের দায়িত্ব নিয়েই বাহিনীর ক্ষোভ প্রশমন ও মনোবল ফেরাতে উদ্যোগী হলেন সুরজিত কর পুরকায়স্থ। আজ আলিপুর বডিগার্ড লাইন ও গার্ডেনরিচ থানায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্যদিকে, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার সমস্ত অভিযুক্তকেই নিজের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। যদিও এখনও অধরা অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না।
শান্তিরক্ষায় গিয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ গেছে নিরস্ত্র অফিসারের। বাহিনীর প্রধানের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে পদ খুইয়েছেন কমিশনার। ধরা যায়নি অন্যতম অভিযুক্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে তদন্তের অধিকারও। গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তলানিতে কলকাতা পুলিসের মনোবল। ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাহিনীর সর্বস্তরে। দায়িত্ব নিয়েই সেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে উদ্যোগী হলেন, কমিশনার সুরজিত কর পুরকায়স্থ। শনিবার দুপুরে প্রথমে তিনি যান আলিপুর বডিগার্ড লাইনে।
এরপর, গার্ডেনরিচ থানাতেও যান নগরপাল। যান হরিমোহন ঘোষ কলেজ এলাকাতেও।
অন্যদিকে, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের তদন্তে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার সমস্ত অভিযুক্তকেই হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। বর্ধমান থেকে গ্রেফতার চুড়ি ফিরোজ, মহম্মদ রাজ ও মহম্মদ শাকিলকে বাইশ তারিখ পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। এই ঘটনায় গ্রেফতার বাকি দশজনকেও শনিবার হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। যদিও অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না এখনও অধরা।
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক থাকলেও, প্রশংসিত হয়েছিল কলকাতা পুলিসের কর্মদক্ষতা। কার্যত খড়ের গাদা থেকে সূঁচ খোঁজার মতোই সেবার গণধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিস। তারপরেই অজ্ঞাত কারণে সরানো হয় তদন্তকারী অফিসারকে। অধরা থেকে যায় প্রধান অভিযুক্ত। এবারও পুলিসি তত্পরতায় ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় প্রধান দুই অভিযুক্তকে। তারপরেই কমিশনার অপসারণ। এবং এখনও অধরা অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মুন্না।
First Published: Saturday, February 16, 2013, 18:02