Last Updated: June 2, 2014 18:29

লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপির ভোট বেড়েছে ১০% থেকে ১২%। কেন বিজেপির এই ভোট বৃদ্ধি, সেই প্রসঙ্গই উঠে এল সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির দুদিনের বৈঠকে। তবে এ বিষয়ে সিপিআইএম বিভিন্ন জেলা নেতৃত্ব নির্দিষ্ট কোনও কারণ উল্লেখ করতে পারেননি। আলোচনায় উঠেছে রিগিং, ভোটদানে বাধা, নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ। নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেন বিভিন্ন জেলা কমিটি। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর প্রথম বার বৈঠকে বসেছে সিপিআইএম রাজ্য কমিটি। দুদিনের বৈঠকের প্রথম দিনই জেলা কমিটিগুলির পক্ষ থেকে লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের কারণ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসসহ একাধিক বিষয়ে রিপোর্ট পেশ শুরু হয়েছে। নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেন বিভিন্ন জেলা কমিটি। দিশাহীন নেতৃত্বের জন্য এই বিপর্যয় বলে কেউ কেউ রাজ্যকমিটির বৈঠকে উল্লেখ করেন।
সন্ত্রাস, রিগিং, ভোট দানে বাধা, বিভিন্ন বুথে বাম প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের বসতে না দেওয়া সহ একাধিক বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিআইএম-এর জেলা নেতারা।
এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির ভোট বেড়েছে। সাদা চোখে বোঝা যাচ্ছে, মূলত বামেদের ভোট কেটেই নিজেদের ঝুলি ভরেছে বিজেপি। কেন এই হাল, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সিপিআইএমের জেলা নেতারা। কারও কারও মতে, দলের প্রার্থীদের জয় নিয়ে আস্থা ও বিশ্বাসের অভাবের পাশাপাশি শাসক দলের আক্রমণের মুখে নিরাপত্তা দিতে দলের নেতাদের ব্যর্থতাই অনেক বামসমর্থককে বিজেপি-র দিকে ঠেলে দিয়েছে। অন্য অংশের মতে, লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের সরকার গঠন ইস্যু বলেই বহু বাম সমর্থিত ভোটার বিজেপি-র দিকে ঝুঁকেছেন।
সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট, দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা, রাজ্যের সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও আছেন পলিটব্যুরো সদস্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। উনিশশো অষ্টআশি থেকে টানা পাঁচ বছর ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ছিল না বামেরা। সে সময় ভোটে রিগিংয়ের পাশাপাশি কংগ্রেসের পাঁচ বছরের শাসনে বেপরোয়া সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। খুন হন বহু বাম নেতা-কর্মী। এবারের লোকসভা ভোটেও তুমুল মোদী ঝড়ের মধ্যেও ত্রিপুরার দুর্গ রক্ষা করেছে বামেরা। হয়তো পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে মানিক সরকারের কাছ থেকে সেই সব অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাইছেন এ রাজ্যের সিপিআইএম নেতারা।
First Published: Monday, June 2, 2014, 18:29