Last Updated: January 14, 2013 20:46
ভারত- ২৮৫/৬
ধোনি-- ৭২
জাদেজা-৬১ অপসিরিজে সমতায় ফেরার ম্যাচেও সেই এক কাহিনি। প্রথমে ব্যাট করে কোচিতে ভারতের
ব্যাটিং বিপর্যয়। পরে অবশ্য সেটা সামলে নিয়ে ধোনি-জাদেজার ব্যাটে ভর করে
২৮৫ রানের ইনিংস গড়ল ভারত। ১৭৪ রানের মধ্যে ভারতের অর্ধেক ইনিংস গুটিয়ে গেছিল। এরপরই জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ধোনি লড়াই শুরু করেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ধোনি-জাদেজার ৯৬ রানের পার্টনারশিপটাই ভারতকে ভদ্রস্থ জায়াগায় নিয়ে গেল। সমালোচনার চাপ মাথায় নিয়ে জাদেজা দুরন্ত ইনিংস খেললেন। সৌরাষ্ট্রের এই অলরাউন্ডার ৩৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেললেন। ধোনি করলেন ৭২ রান।
কোচিতে খেলতে নেমেই পতনের মুখে পড়ল ধোনিবাহিনী। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ টসে জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন মাহি। কিন্তু তাঁর টস ভাগ্য যে দলের ব্যাটসম্যান্দের পারফর্মেন্সে খুব একটা বদল আনতে পারেনি এখনও পর্যন্ত ভারতের স্কোর বোর্ড তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রথম থেকেই ব্রিটিশ বোলিং-এর কাছে নড়বড়ে ঠেকেছে দুই ওপেনার গম্ভীর আর রাহানেকে। ডারব্যাকের বলে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন গম্ভীর। সিনিয়ারকে এক্ষেত্রে অনুসরণ করতে বিশেষ দেরি করেননি রাহানেও। ব্যাক্তিগত ৪ রানের মাথায় ফিনের বলে আউট হয়ে তিনিও আপাতত প্যাভিলিয়নবাসী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতের স্কোর ১১ ওভারের শেষে ২ উইকেটে ৪৮। ক্রিজে আছেন ১৬ রানে যুবরাজ এবং ১১ রানে কোহলি অপরাজিত।
ভারতীয় ক্রিকেট এখন হারের গ্রহে। একের পর এক হারে ক্লান্ত ভারতীয় দলের কাছে ফের একটা ম্যাচ হাজির। সেটাও হারের আবহেই। ০-১ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আজ সিরিজে সমতায় ফেরার ম্যাচ মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের কাছে। রাজকোটে হার দিয়ে শুরু করলেও ধোনির দলের কাছে প্রাপ্তি ছিল দলের ব্যাটিংয়ের ফর্মে ফেরা। অবশ্য দলের বোলিং দেখে নিদ্রাহারা হওয়ার কথা ধোনির। ডেথ বোলিংয়ের হাল তো আরও খারাপ।
রাজকোটে হার মাত্র নয় রানে। আর এই মাত্র কটা রানে হার ভারতের উপর কি বড় প্রভাব ফেলে দিয়েছে,তা কোচির মত মনোরম শহরে ডানকন ফ্লেচারের দলের গুরুগম্ভীরভাব চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে। টেস্ট ক্রিকেটে ধোনিদের হারের সিরিজ চলছে। ভরসা ছিল একদিনের ক্রিকেট। সেখানেও তথৈবচ অবস্থা। কুচিপুরীর দেশে এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসার পথ্য খুঁজছেন ফ্লেচার-ধোনি।
শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানদের খারাপ পারফরম্যান্সেই চিন্তা সীমাবদ্ধ নয়। বোলিংয়ে বৈচিত্র্যহীনতাও কম ভাবাচ্ছে না `মেন ইন ব্লু`-র সেনাপতিকে। বলা ভাল,ধোনির মাথাব্যাথার কারন দুটি-১) বিরাট কোহলির ব্যাটিং ফর্ম ও ২) রবিচন্দ্রন অশ্বিনের খারাপ ফর্ম। অশ্বিনের বোলিং দেখে খোদ দক্ষিণী শহর কোচিতেই এই স্পিনারকে বসানোর দাবি উঠে গিয়েছে। প্রায় অর্ধেক বছর ধরে বিরাটের ব্যাটে একরাশ শূন্যতা। কিন্তু চেতেশ্বর পূজারাকে না খেলানোর গোঁ ধরে বসে থাকা ধোনি এই ম্যাচেও সুযোগ দিচ্ছেন বিরাট কোহলিকেই। ভাল বিকল্প না থাকায় স্ট্রাইক বোলার হিসেবে কাজে না আসা অশ্বিনও থাকছেন প্রথম একাদশেই। না বদল হওয়া ধোনির দলে বদলের হাওয়া একটাই,এবার বদলা চাই!
First Published: Tuesday, January 15, 2013, 16:05