Last Updated: February 6, 2013 09:42

দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত ছজনেরই মৃত্যু দণ্ডের দাবি করলেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা। মঙ্গলবারই ফাস্টট্র্যাক আদালতে শুরু হয়েছে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের শুনানি। আদালতে সাক্ষ্য দেন ঘটনার এক মাত্র প্রতক্ষ্যদর্শী ওই তরুণী বন্ধু। পাঁচ অভিযুক্তকে সনাক্ত করেছে ওই যুবক। যে বাসটিতে ধর্ষণ করা হয়েছে সেটিকেও চিহ্নিত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার থেকে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে শুরু হল দিল্লি গণধর্ষণ মামলার বিচার। হইল চেয়ারে করে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক যোগেশ খান্নার এজলাসে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নির্যাতিতা তরুণীর বন্ধু। তিহার জেল থেকে নিয়ে আসা হয় পাঁচ অভিযুক্তকেও। পেশায় তথ্য প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক পাঁচ অভিযুক্তকে সনাক্ত করেন। ষোলোই ডিসেম্বর রাতে যে বাসের মধ্যে প্যারামেডিক্যালের ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল, সেই বাসটিকেও তিনি সনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী এপি সিং।
মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নিগৃহীতার বাবা ও ভাই। দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত ছ-জনেরই মৃত্যুদণ্ড দাবি করলেন তারা।
দিল্লির বিজেপি প্রধান বীজেন্দ্র গুপ্তা ও দক্ষিণ দিল্লির মেয়র সবিতা গুপ্তাকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তরুণীর বাবা ও ভাই। সেখানেই ফের একবার নির্যাতিতা তরুণীর আসল নাম প্রকাশ্যে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাঁর বাবা।
মঙ্গলবারও অপ্রাপ্তবয়স্ক ষষ্ঠ অপরাধীকে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে গণ্য করার বিরোধতা করেছে তরুণীর পরিবার। ষোলই ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে নারকীয় অত্যাচারের শিকার হন ওই তরুণী। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় গোটা দেশ। ধর্ষকদের কঠোরতম শাস্তির জন্য অর্ডিন্যান্স এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অর্ডিন্যান্সে সই করেছেন রাষ্টপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। নির্যাতিতার পরিবারের ধর্ষকদের কঠোরতম শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে।
First Published: Wednesday, February 6, 2013, 09:42