Last Updated: June 28, 2014 16:45

মৃত্যুমিছিল অব্যাহত জলপাইগুড়ির রায়পুর চা-বাগানে। গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে জিত্ বাহান মুন্ডা নামে এক চা শ্রমিকের। এই নিয়ে এক সপ্তাহে মৃত্যু হল ছ জন শ্রমিকের। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রশাসনিক অধিকারিকরা। বিডিও শ্রদ্ধা সুব্বা, এসডিও সদর সীমা হালদার এবং জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার চা বাগান পরিদর্শনে যান। শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকারি আধিকারিকরা বাগান পরিদর্শনে গেলেও কথা বলেননি কোনও শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে। অভিযোগ, বন্ধ চা বাগানে মৃত্যু মিছিলের জন্য দায়ী অনাহার-অপুষ্টি। শুক্রবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এই অভিযোগ খারিজ করে দেন এসডিও সদর সীমা হালাদার। তাঁর পাল্টা দাবি, অপুষ্টি নয় রোগজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে ছ জনের। যদিও গত উনিশ জুন থেকে শিশুদের খাবারের সরবরাহ বন্ধ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অঙ্গনবাড়ি কর্মী রেখা রজক। দু হাজার তেরোর সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রায়পুর চা বাগান। সরকারি সাহায্য হিসেবে যে চাল-গম দেওয়া হয়, তা খাওয়ার অযোগ্য বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। মৃত্যুর বাইশ ঘণ্টা পর চা বাগান শ্রমিকের সত্কারের ব্যবস্থা নিল জেলা প্রশাসন । গতকাল সন্ধেয় অনাহার,অপুষ্টিতে মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ির রায়পুর বন্ধ চা বাগানের শ্রমিক জিতবাহন মুণ্ডার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে সত্কার করার মতো টাকাই ছিল না ঘরে। ফলে গোটা রাত দেহ আগলে বসে থাকে পরিবার। সকাল হতে ছড়িয়ে পড়ে খবর। চব্বিশ ঘণ্টায় অনাহারে মৃত্যুর খবর সম্প্রচারিত হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করা হয়। পঞ্চায়েত বিডিওকে বিষয়টি জানায়। মৃত্যুর বাইশ ঘণ্টা পর প্রশাসন মৃত শ্রমিকের সত্কারের বন্দোবস্ত করল।
First Published: Saturday, June 28, 2014, 16:45