Last Updated: December 22, 2012 15:02

ইন্ডিয়া গেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, রাজধানীর চলন্ত বাসে তরুণীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। অন্যদিকে সাব-ডিভিশনাল ম্যজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান নথিভুক্ত করলেন নিগৃহীতা তরুণী। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ও পুলিসের ওপর চাপ বাড়াতে এই বয়ান সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী শনিবার এসডিএমকে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন।" তিনি আরও বলেন, নিগৃহীতা তরুণীর বয়ান ইতিমধ্যেই অদালতে পেশ করা হয়েছে।
শুক্রবার স্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিং জানিয়েছিলেন, গণধর্ষণে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের চেষ্টা চালবে দিল্লি পুলিস। সেইসঙ্গে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ইতিমধ্যেই দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুক্রবার বিহারের ঔরঙ্গাবাদ থেকে ষষ্ঠ অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার পঞ্চম অভিযুক্ত রাজুকে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বাদাউন থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার আগেই গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত বাসের চালক রাম সিং, তার ভাই মুকেশ, পবন এবং বিনয়কে। আদালতে পেশ করা হলে রাম সিং, পবন এবং বিনয়ের পুলিসি হেফাজত ও মুকেশের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত রবিবার রাতে দক্ষিণ দিল্লির একটি সিনেমা হল থেকে ফিরছিলেন ২৩ বছরের এই তরুণী ও তাঁর পুরুষ সঙ্গী। সেইসময় একটি বেসরকারী বাসে ওই তরুণীর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়। গণধর্ষণের পর তাঁকে লোহার রড দিয়ে দীর্ঘক্ষণ মারা হয়। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁর বন্ধুকেও। তাঁদের পোশাক খুলে বাস থেকে ছূঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু`জনকেই রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করে পুলিস। নিগৃহীতা তরুণী বর্তমানে সাবদারজং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
First Published: Saturday, December 22, 2012, 16:58