ডেঙ্গিতে প্রাণ গেল আরও ৩ জনের

ডেঙ্গিতে প্রাণ গেল আরও ৩ জনের

ডেঙ্গিতে প্রাণ গেল আরও ৩ জনেরডেঙ্গিতে ফের ৩ জনের মৃত্যু হল কলকাতায়। সবমিলিয়ে রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭। কলকাতায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছল ২৭। যদিও সরকারি মতে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের জেলার সৌমিক সরকার।   

ডেঙ্গিতে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। মিন্টোপার্ক এলাকার একটি নার্সিংহোমে সোমবার সকাল মৃত্যু হয়েছে বাগুইআটির বাসিন্দা, ৫৫ বছরের নিখিল রায়ের। শুক্রবার জ্বর এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। এনএস-ওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁর রক্তে ডেঙ্গির ভাইরাস মিলেছে বলে নার্সিংহোন সূত্রে খবর। অন্যদিকে, হেমারেজিক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সোমবার দুপুরে লেকটাউনের এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে উল্টোডাঙার বাসিন্দা, ৭৫ বছরের সুনীল কুমার দাসের। কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি গত ১০ দিন ধরে নার্সিংহোমটিতে চিকিত্সাধীন ছিলেন। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে, আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে উল্টোডাঙার বাসিন্দা রোহিত কর নামে ১৪ বছরের এক কিশোরের। কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোহিতকে ৯ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

এর আগে, খোদ মেয়রের ওয়ার্ডে রবিবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় একজনের। মৃত অসীম বিশ্বাস বেহালার পর্ণশ্রী এলাকার বাসিন্দা। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে সোদপুরের বাসিন্দা ফুটবলার রঞ্জিত হালদারেরও। জানা গিয়েছে, যোধপুর পার্ক এলাকার একটি নার্সিংহোমে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন অসীমবাবু। এনএস-ওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় রক্তে ডেঙ্গি ভাইরাস মিলেছিল বলে নার্সিংহোম সূত্রে খবর। রবিবার মৃত্যু হয়েছে ফুটবলার রঞ্জিত হালদারের। পানিহাটির মোল্লাহাটের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ৫ দিন আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রবিবার সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। একসময় বিএনআর-এর হয় ফুটবল খেলতেন রঞ্জিতবাবু। প্রিমিয়ার লিগে বেশ কয়েকটি গোল করেন তিনি। সম্প্রতি শ্যামনগর সবুজ সঙ্ঘ ক্লাবে সই করেছিলেন। রবিবার রাতে তাঁর দেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।

ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ বছরের নুর মহম্মদ মোল্লারও। সাতদিন আগে জ্বর নিয়ে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি হন বজবজের সন্তোষপুর গ্রামের এই বাসিন্দা। চারদিন পর, শুক্রবার তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় নুর মহম্মদের। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের কারণেই নুর মহম্মদের মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হয়েছে। নুর মহম্মদের চিকিতসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁর আত্মীয়েরা।

সরকারি হিসেব বলছে, এসএস-ওয়ান অ্যান্টিজেন রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯৪। কলকাতা ও উত্তর চব্বিশ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২ হাজার ৪৮২ এবং ৫৯২ জন।
 

First Published: Monday, September 10, 2012, 20:41


comments powered by Disqus