Last Updated: August 28, 2012 20:44

কলকাতায় ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনা। মঙ্গলবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই হাসপাতালের কর্মী মেরি বনওয়ারের। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিত্সকরা। এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়াল ৭। সরকারি হিসেব অনুযায়ী কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭৪।
চলতি মরসুমে ডেঙ্গিতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে। যাদবপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান সুস্মিতা মালাকার নামে এক গৃহবধূ। ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশদ্রোনী এলাকায় মারা যান শুভময় ধর নামে এক ছাত্র। একই এলাকায় ১২ অগাস্ট মৃত্যু হয় দেবব্রত ভট্টাচার্য নামে এক যুবকের। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় শ্রীজা সাহা নামে এক তরুণীর। রবিবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয় ১২ বছরের কিশোর রাহুল দাসের। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান সল্টলেক ইসি ব্লকের বাসিন্দা পূর্ণিমা পরশরামকা। এখনও কলকাতা ও শহরতলীর বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন বহু মানুষ।
এদিকে ডেঙ্গি সঙ্কট ঠেকাতে এদিন কলকাতা পুরসভার অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ছিলেন ন্যাশনাল ভেক্টর কন্ট্রোল প্রোগামের আধিকারিকরাও। পরিসংখ্যান বলছে, গত দু`বছরের তুলনায় কলকাতা ও শহরতলিতে ছাপিয়ে গেল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। পুরসভার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার নতুন করে দু`জনের দেহে ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা পড়েছে। বিধাননগরের করুণাময়ী আবাসনের বাসিন্দা বছর আঠেরোর এক কিশোরের দেহেও ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। স্থানীয় বাসীন্দারা অভিযোগ করেছেন ডেঙ্গি প্রতিরোধে তেমনভাবে পুরসভার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। নেই কোনও নজরদারি। ডেঙ্গি ধরা পড়েছে বিধাননগর সংলগ্ন কেষ্টপুরের বাসিন্দা পাঁচ বছরের এক শিশুর দেহেও।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত কলকাতা ও সল্টলেকে ম্যাক-এলাইজা টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন মোট ২০৪ জনের। রাজ্যে ম্যাক-এলাইজা টেস্ট অনুযায়ী মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৩। এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন টেস্টে কলকাতায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪২জন। রাজ্যে এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন টেস্টে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩০।
First Published: Tuesday, August 28, 2012, 20:44