Last Updated: May 28, 2014 13:19

এই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জীব মানুষের প্রেম, বন্ধুত্ব নিয়ে কত গল্প লেখা হয়। কত আবেগ তৈরি হয়। বিতর্কও হয়। প্রশ্ন ওঠে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা কী পাল্টে যাচ্ছে। তা না হলে গত এক বছরে যত খুন হয়েছে সেখানে বন্ধুরাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছে। এই অবস্থায় আপনার জন্য একটা খবর থাকল।
তবে কিছু খবর থাকে জানা হয়ে গেলেই সেখানেই শেষ হয়ে যায়। আবার অনেক খবর হয়ত সংবাদের শিরোনামে থাকে না কিন্তু সারাদিন ভাবায়। এ খবরটা দ্বিতীয় প্রকৃতির। মানে মনকে ভাল করে দেয়, ভাবাও।
আমরা নিজেরদের মনের সব আবেগ নিয়ে এতটাই মশগুল থাকি, মানুষ ছাড়া এই বিশ্বের আরও প্রাণীদের ঠিক মানুষেরই মতো আবেগ, ভালবাসা, প্রেম, দুঃখ, বেদনার এক অভাবনীয় রসায়ন ঘটে যায়, তা খালি চোথে দেখতে পাই না। এই দৃশ্য মনের চোখ দিয়ে দেথা যায়। এই রকম একটি ইউ টিউব-এর ভিডিও ছাগল ও গাধার ভালবাসা মানুষের মনকে নাড়া দিয়ে গেল। (দেখুন এই মন ভাল করা ভিডিও)
ক্যার্লিফোনিয়ার এক পশুকল্যান সংস্থা পশুর মনকে পরীক্ষা করার জন্য ছোট্ট একটি খেলা খেলেছিল। একটি ছাগল, যার নাম দেওয়া হয়েছিল মিস্টার জি তাকে চিকিত্সা করার জন্য আলাদা করে দেওয়া হয় তার সঙ্গীদের কাছ থেকে। সেই অভয়ারণ্যের সবথেকে ভাল বন্ধু ছিল জেলিবিন। এটি একটি গাধার নাম। তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য অভয়ারণ্যে।
মিস্টার জি কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ক্যার্লিফোনিয়ার অন্য এক অভয়ারণ্যে। আশ্চর্য্যের বিষয় যবে থেকে জেলিবিন আলাদা হয়ে গিয়েছিল, সারাদিন মন খারাপ করে শুয়ে থাকে কেবিনের এক কোণে। টানা ছয়দিন কিছু মুখে দেয়নি। ভয় পেয়ে যান সেখানকার কর্মীরা। মিস্টার জি`র শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বাধ্য হয়ে বনকর্মীরা খোঁজ করতে শুরু করে জেলিবিনের।
টানা ১৪ ঘণ্টা খোঁজার পর জেনিবিনের হদিস পায় `অ্যানিমেল প্লেস অভয়ারণ্য`তে। নিয়ে আসা হয় মিস্টার জি`র আস্তাবলে। জেলিবিনকে যখন গাড়ি থেকে নামানো হয় তার আওয়াজে প্রথম মুথ তুলে চেয়ে দেখে। ছুট দেয় জেলিবিনের কাছে। আনন্দে বিহ্বল হয়ে ওঠে মিস্টার জি। প্রায় এক সপ্তাহ পর মিস্টার জি জেলিবিনের সঙ্গে এক পাতে খায়। এমন প্রেম দেখে আপানর চোখে জল এল! মনে হল! এভাবেও ভালবাসা যায়।
First Published: Wednesday, May 28, 2014, 13:19