ভিসায় ভুল তথ্য দেওয়ার মামলায় দেবযানী খোবরাগাড়েকে অভিযুক্ত করল মার্কিন আদালত, ভারতীয় কূটনীতিককে দ্রুত

ভিসায় ভুল তথ্য দেওয়ার মামলায় দেবযানী খোবরাগাড়েকে অভিযুক্ত করল মার্কিন আদালত, ভারতীয় কূটনীতিককে দ্রুত মার্কিন ভূখণ্ড ছাড়ার নির্দেশ

ভিসায় ভুল তথ্য দেওয়ার মামলায় দেবযানী খোবরাগাড়েকে অভিযুক্ত করল মার্কিন আদালত, ভারতীয় কূটনীতিককে দ্রুত মার্কিন ভূখণ্ড ছাড়ার নির্দেশ দেবযানী খোবরাগাড়েকে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তই করল মার্কিন আদালত। ভিসায় ভুল তথ্য দেওয়ার মামলায় দেবযানীকে অভিযুক্ত করেছে গ্র্যান্ড জুরি। তবে তাঁর কূটনৈতিক রক্ষাকবচ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। দেবযানীকে দ্রুত দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। দেবযানী ইতিমধ্যেই মার্কিন ভূখণ্ড ছেড়েছেন বলে এর আগে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁর আইনজীবী ড্যানিয়েল আরশাক জানান, তিনি সে দেশে নিজের বাড়িতেই রয়েছেন।

এর আগে মার্কিন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছিল দেবযানী খোবরাগাড়ের আর্জি। আদালত জানিয়েছিল বাড়ছে না তাঁর বিরুদ্ধে চার্জগঠনের সময়সীমা। ভিসা কারচুপি থেকে রেহাই পেতে এই আর্জি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল দেবযানীর কাছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই ভারত সফর বাতিল করলেন মার্কিন শক্তি সচিব।

দেবযানী খোবরাগাড়ে ইস্যুতে কঠোর অবস্থান থেকে সরছে না নয়াদিল্লিও। বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যা যা করা উচিত, সেটাই করছে ভারত। মার্কিন আইন বলছে, গ্রেফতারের তিরিশ দিনের মধ্যে চার্জ গঠন করতে হবে। সেই অনুযায়ী ১৩ জানুয়ারি দেবযানী খোবরাগাড়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

এই সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন ভারতীয় কূটনীতিক। কিন্তু মার্কিন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে সেই আর্জি। ফলে ভিসা কারচুপি বিতর্কে নতুন করে চাপ বাড়ল দেবযানীর ওপর। এই পরিস্থিতিতে অন্য বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তাঁর আইনজীবী। ভিসা কারচুপি মামলায় অবশ্য আদালতে হাজির হওয়া থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন দেবযানী খোবরাগাড়ে। কিন্তু, মার্কিন আইনকে সামনে রেখেই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি প্রীত ভারারা। তাঁর নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবযানী খোবরাগাড়েকে।

এই বিতর্কে কোনওভাবেই সুর নরম করতে নারাজ নয়াদিল্লি। দিল্লির মার্কিন দূতাবাসে সমস্ত রকম বাণিজ্যিক কাজকর্ম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ষোলই জানুয়ারির মধ্যে মার্কিন দূতাবাসে একটি ক্লাব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এগুলো যে সবই পাল্টা পদক্ষেপ সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ।

দেবযানী বিতর্কের আঁচ ভারত-মার্কিন সম্পর্কে পড়বে না বলে সওয়াল করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু, সম্পর্কের পথটা কতটা মসৃণ রাখা যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ভারত সফর বাতিল করেছেন মার্কিন শক্তি সচিব। চলতি মাসেই তাঁর ভারতে আসার কথা ছিল।

First Published: Friday, January 10, 2014, 08:45


comments powered by Disqus