Last Updated: December 6, 2011 14:42

রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখার্জির একটি মৌখিক নির্দেশিকা ঘিরে পুলিস মহলে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মগরাহাটের ঘটনার প্রেক্ষিতে এক নির্দেশে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখার্জি। এমনকী অশান্তিপ্রবণ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র না নিয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রের প্রয়োজন হলে সিনিয়র অফিসারদের বাহিনীর সঙ্গে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা ঘিরেই চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে পুলিস মহলে।
মগরাহাটের ঘটনার পর লিখিত নির্দেশ জারি করে অশান্তিপ্রবণ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র না নিয়ে যেতে পুলিসকর্মীদের পরামর্শ দেওয়া হল। বিভিন্ন জেলার পুলিস সুপাররা থানার ওসিদের এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আইন শৃঙ্খলাজনিত যে কোনও সমস্যায় পুলিসকর্মীরা গেলে হেলমেট এবং ঢাল নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে টহলদারির সময় শুধুমাত্র অফিসারেরা রিভলবার বহন করতে পারবেন।

পুলিস বাহিনী কোথাও গেলে কাঁদানে গ্যাস এবং রবার বুলেট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। আগ্নেয়াস্ত্রের যদি প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে সিনিয়র অফিসাররা সেই বাহিনীর সঙ্গে যাবেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা আগেই জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মগরাহাটের ঘটনার পর ডিজির নির্দেশে জেলার পুলিস সুপাররা নতুন করে এই নির্দেশিকা আবার জারি করেছে। রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখার্জি মৌখিক নির্দেশে বলেছেন, স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা রাখতে হবে। পুলিসকর্মীদের প্রশ্ন তাহলে কি পুলিস ফাঁড়ি বা ক্যাম্পে যাঁরা ডিউটি করেন তাঁদের সার্ভিস
রিভলবারও এখন থেকে থানায় জমা রাখা হবে? এলাকায় কোনও অপরাধ ঘটলে শুধু কি হাতে লাঠি নিয়ে তা মোকাবিলায় এগোবেন অফিসাররা?
প্রশাসনিক সুত্রের খবর গুলি চালানোর ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকেও মহাকরণে কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। অথচ নিয়ম অনুয়ায়ী ঘটনার পর রাজ্য প্রশাসনের কাছে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট পাঠানোর কথা।
First Published: Wednesday, December 7, 2011, 18:40