Last Updated: October 14, 2012 09:54

উত্তরপ্রদেশে যুবরাজ যা পারেননি, মুর্শিদাবাদে তাই করে দেখালেন অধীর
চৌধুরী। দেশজুড়ে তীব্র কংগ্রেস বিরোধী হাওয়াতেও জঙ্গিপুরের আসন থাকল
কংগ্রেসের দখলেই। রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, এটা সম্ভব হয়েছে অধীর ম্যাজিকের
কারণেই। এবার ভোটেও কিভাবে কাজ করল অধীর ম্যাজিক ? ১ লক্ষ ২৮ হাজার ভোটের
জয় একধাক্কায় ২ হাজার ৫৩৬ ভোটে নেমে এল। ১ লক্ষ ২৫ হাজার ভোট কমা
নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা। অথবা বামেদের বড় সাফল্য। রাজনৈতিক
মহলে গুঞ্জন, আর একটু হলেই হেরে যেতে বসেছিল কংগ্রেস। অধীর চৌধুরী অবশ্য এই জয়কে খাটো করে দেখতে নারাজ। অধীর বলছেন, জয় মানে জয়, তা সে যেভাবেই হোক না কেন।
কেন জঙ্গিপুরের ভোট কংগ্রেসের কাছে এতটা কঠিন ছিল।
এক) প্রধানমন্ত্রী সহ কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগ।
দুই) অর্থনৈতিক সংস্কারের নামে একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত।
তিন) ডিজেলের দাম বাড়িয়ে আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, সারের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে।
কেন্দ্রের এই সমস্ত কীর্তিকলাপের দায় নিতে হয়েছে কংগ্রেসকে। ছিল আরও বেশ কয়েকটি বিপরীতমুখী হাওয়াও ।
এক) প্রণব পুত্র অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা নিয়ে প্রথম থেকেই কংগ্রেসের অন্দরমহলে ছিল অসন্তোষ।
দুই) আট বছর সাংসদ থাকলেও বিড়ি শিল্প অথবা ভাঙন, অথবা জঙ্গিপুরের মানচিত্রের কিছুই বদল করতে পারেননি প্রণববাবু। অভিযোগ এমনটাই।
তিন) আচমকা তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়া।
জঙ্গিপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের ভূমিকা কিন্তু ছিল যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। তৃণমূল বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, নাকি কংগ্রেসকে এসব বিতর্কের মধ্যেও একটা বিষয় স্পষ্ট, তাদের মূল লক্ষ্য কিন্তু ছিল, অপারেশন অধীর। মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে দিতে পারলে নিঃসন্দেহে খুশি হতেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের এই জয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে এআইসিসি। এবং শেষপর্যন্ত যে মুর্শিদাবাদ জেলায় অধীর ম্যাজিক ফের কাজ করল সে ছবিটাও স্পষ্ট।
First Published: Sunday, October 14, 2012, 13:49