Last Updated: February 7, 2012 12:19

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস নাশকতায় ট্রেনের দুই চালক ও গার্ডকে বরখাস্ত করল রেল। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি গতিতে ট্রেন চালানোর অভিযোগে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চক্রধরপুরের ডিআরএমের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
২০১০ সালের ২৭শে মে রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের সরডিহার কাছে নাশকতা শিকার হয় হাওড়া-মুম্বই জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। রেলট্র্যাকের বেশ খানিকটা অংশ না থাকায় ট্রেনটি বেলাইন হয়ে যায়। উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ি জ্ঞানেশ্বরীর বেলাইন হয়ে যাওয়া বগিগুলিকে ধাক্কা মারে। এই নাশকতায় নিহত হন ১৪৮ জন। আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। রেলট্র্যাকে নাশকতার জন্য তত্কালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে সিপিআইএম-কে দায়ী করলেও পরে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে মাওবাদীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
জ্ঞানেশ্বরী নাশকতার পর তদন্ত শুরু করে রেল। রেলের তদন্তে ট্রেনের দুই চালক ও গার্ডকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্ধারিত গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার হলেও ২৭ মে রাতে সরডিহার কাছে জ্ঞানেশ্বরীর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। ওইদিন কর্তব্যরত ট্রেনের চালক বিকে দাস, সহকারী চালক টি দেবাঙ্গন ও গার্ডকে বিধিভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুই চালক ও গার্ড রেলের চক্রধরপুর ডিভিশনের কর্মী, তাঁদের বাড়ি ওড়িশার রৌরকেল্লায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চক্রধরপুরের ডিআরএমের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
First Published: Tuesday, February 7, 2012, 12:19