Last Updated: October 19, 2011 20:51

কিস্তির টাকা জমা না পড়ায় বেসরকারি বাস মালিকদের বাস কেড়ে নেওয়ার পরিবহণ দফতরের হুঁশিয়ারি ঘিরে পরিবহণ শিল্পে চাঞ্চল্য। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বাস মালিকদের সংঘাতের বাতাবরণ ক্রমশঃ তীব্র হচ্ছে। ২০০৯ সালের ৩১ শে জুলাই রাজ্যে পনেরো বছরের পুরনো যান বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। সে বছরের সেপ্টেম্বরে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের টাকা কাজে লাগিয়ে মালিকদের নতুন বাস নেওয়ায় উত্সাহ দেয় রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এ কাজের তদারকি করার জন্য গঠিত হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ভূতল পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম বা ডাব্লুবিটিডিসিএল। ঠিক হয় বেঙ্গালুরুর এসিজিএল এবং গোয়ার এএলএমএ - র তৈরি করা রিয়ার আপ বাস ১৯.৪৫ লক্ষ টাকায় কেনা হবে।বাসপিছু ৩৫% টাকা দেবে জেএনএনইউআরএম ১৫% দেবে পরিবহণ দফতর এবং বাদবাকি ৫০% কিস্তির মাধ্যমে মেটাবেন মালিকরা। প্রাথমিকভাবে বাসপিছু 2 লক্ষ টাকা করে সিকিউরিটি মানি জমা দেন মালিকরা। এরপর 8 বছরের জন্য মাসিক ২২ হাজার টাকা কিস্তিতে তারা ঋণ পরিশোধ করবেন বলে চুক্তি হয়। কিন্তু বাস্তবে গত আট নয় মাস প্রায় ৪০টি বাসের মালিক সেই কিস্তির টাকা মেটাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাই ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন রুটে চলা ৫১২টি সুন্দরী বাসের মালিকদের কাছ থেকে তা ফেরত নেবার কথা ভাবছে রাজ্য। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ হবার পর থেকেই জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে জেরবার বাস মালিকরা। ২০০৯এর জুলাই থেকে ২০১১ র জুন পর্যন্ত ডিজেলের দাম বেড়েছে ছ বার। নতুন বাসে ছটি সিলিন্ডার। ১৬০ হর্স পাওয়ারের এই বাসগুলি চালাতে যে সুপার ডিজেল লাগে তার দাম সর্বশেষ বেড়েছে একধাক্কায় ১৩ টাকা। অথচ অপ্রিয় হবার ভয়ে কোনওমতেই ভাড়া বাড়াতে রাজি নয় সরকার। ফলে একই রুটে টিনের বাস চলছে ন্যুনতম চার টাকা ভাড়ায়। দামি নতুন বাসও চলছে একই ভাড়ায়। ফলে দিনদিন লোকসানের বহর বাড়ছে। কিস্তির টাকা দেওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছেন মালিকরা। নতুন বাস এতটাই অলাভজনক, যে এয়ারপোর্টের কাছে পড়ে রয়েছে চারশো সুন্দরী বাস। কেনার আগ্রহ নেই মালিকদের। এমনকি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি সংস্থা যেমন সিটিসি, সিএসটিসি, ডাব্লুবিএসটিসি, এসবিএসটিসি,এনবিএসটিসি বা ভূতল পরিবহণও বাসগুলি কিনতে সাহস পাচ্ছেনা।
First Published: Wednesday, October 19, 2011, 20:51