Last Updated: April 27, 2012 09:42

অপরাধ, একটি নির্দিষ্ট সংঘটনের সদস্য। তাই কার্যত নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বেছে বেছে চিকিত্সদের একের পর এক বদলি করা হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে। দেখা হচ্ছে না চিকিত্সকের কাজ বা জনপ্রিয়তা।
চিকিত্সক হিসেবে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন অনিন্দ্য সরকার। হঠাত্ই রিলিজ অর্ডার দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সরকারি চিকিত্সকদের বৃহত্তম সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের নেতৃত্বে থাকা অনিন্দবাবুকে। তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বেছে বেছে ওই সংগঠনের নেতাদেরই এভাবে বদলি করা হচ্ছে।
অনিন্দ্য সরকারের মতোই বদলি করা হয়েছে ওই হাসপাতালের আরেক জনপ্রিয় চিকিত্সক ধীমান পালকে।একই ভাবে হঠাত্ বদলির নির্দেশ এসেছে বীরভূমের সিউড়ি হাসপাতালের চিকিত্সক সুব্রত সরকারেরও। প্রিয় চিকিত্সককে এভাবে বদলি করে দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ ও হাসপাতালের রোগীরাও।
অপেক্ষাকৃত ভাল চিকিত্সকদের এভাবে বদলি করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষই অসুবিধায় পড়বেন বলে মনে করেন সিপিআইএম নেতা বীরেশ্বর লাহিড়ি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সুর শোনা গিয়েছে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের কথাতেও।
রাজ্যে পরিবর্তনের পর তৈরি হয়েছে চিকিত্সকদের নতুন সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। চলতি মাসেই কলকাতায় ওই সংগঠনের সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিত্সক মহলে অভিযোগ, এরপর থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইচ্ছেমতো বদলির রিলিজ অর্ডার ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরোনো সংগঠনের নেতাদের। সব মিলিয়ে এবার রাজ্যের চিকিত্সক মহলেও শুরু হয়েছে `আমরা-ওরা`র বিভাজন।
First Published: Friday, April 27, 2012, 09:42