Last Updated: June 13, 2013 22:00

এ যেন ঠিক সিনেমার দৃশ্য। ঘটনার নায়কের প্লেন থেকে নেমে দমদম বিমানবন্দরে সিকিউরিটি জোনে লাইনে দাঁডানোর পরই নাটকের শুরু। তবে সঙ্গে ছিল না কোনও ব্যাগ। আর এতেই সন্দেহ হয় শুল্ক দফতরের কর্মীদের। আন্তর্জাতিক টার্মিনালের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হওয়ার সময় সন্দেহের বশে মহম্মদ রিয়াজকে আটক করেন তাঁরা। ব্যস! তারপরই শুরু। ধর ধর পরে ধরা পড়লেন সেই যাত্রী। কিন্তু কী আশ্চর্য তাঁকে চেকিংয়ের পরও কিছু পাওয়া গেল না। কিন্তু কোথাও একটা সন্দেহ হচ্ছিল। জেরায় রিয়াজের অসংলগ্ন কথাবার্তা, সন্দেহ আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। এরপর ওই যাত্রীর দেহের এক্স-রে করা হয়। আর তখনই ধরা পড়ে, রিয়াজের মলদ্বারে লুকনো রয়েছে পনেরোটি সোনার বাট। শুল্ক কর্তাদের দাবি, এক একটি বাটের ওজন প্রায় একশো গ্রাম।
তাই তাঁকে এক্স রে করতে পাঠানো হল।
রিপোর্ট আসতেই সবাই অবাক। এ কি! দেখা গেল সেই যাত্রীর মলদ্বারে কিছুট একটা জিনিস আটকে। তারপরই অপরাশেন করে বের করে দেখা গেল সোনার বার। একে একে ১৫ টা সোনার বার বের করা আনা হল মলদ্বার থেকে। মোট সোনার পরিমাণ দেড় কেজি। সেই যাত্রীর নাম মহম্মদ রিয়াজ। সৌদি আরব থেকে আসছিলেন তিনি।
মহম্মদ রিয়াজের কাছ থেকে মোট দেড় কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দফতর। আরও তথ্য জানতে রিয়াজকে জেরা করা হচ্ছে।
First Published: Friday, June 14, 2013, 08:40