Last Updated: October 19, 2013 12:04

মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারের জল বিপদসীমার নীচে নেমে গেছে। তাই আজ আর নতুন করে জল ছাড়া হবে না। এমনটাই জানিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। গতকালও মাইথন থেকে বারো হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। যদিও রাজ্যকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে বলে এখনও নিজেদের বক্তব্যে অনড় রয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। জল নিয়ে সমস্ত নথি নিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর নবান্ন ভবনে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ডিভিসির আধিকারিকরা।
পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদীর ওপর বাঁধ দেওয়ার কাজ শেষ করল সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। আজ সকালে বাঁধ দেওয়ার কাজ শেষ হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। পাঁশকুড়া ব্লকে জল একটু নেমেছে। তবে অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকা হওয়ায় তমলুক ও নন্দকুমারে জল ঢুকেছে। তবে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। গত দু-তিন দিন ধরে যেসব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছয়নি, সেইসব এলাকায় আজ ত্রাণ পৌঁছে দেবার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
সার্বিকভাবে হুগলির আরামবাগ, পুরশুড়া ও খানাকুল একনম্বর ব্লকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। খানাকুল এক নম্বর ব্লকের যেসব জায়গায় জল জমে ছিল, ধীরে ধীরে সেই সব এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। তবে খানাকুল দুই নম্বর ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েত এলাকা এখনও প্লাবিত। গতকাল ভরা কোটালে রূপনারায়ণ নদের জল বাড়ায় এই এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে বলে খবর। মায়াপুর-গড়েরহাট রাজ্যসড়কের বেশ কিছু জায়গায় জল জমে থাকায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
First Published: Saturday, October 19, 2013, 12:04