লোকসভা নির্বাচন: প্রশাসনিক রদবদলের পরেও রাজ্যে তৃতীয় দফায় শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশ

লোকসভা নির্বাচন: প্রশাসনিক রদবদলের পরেও রাজ্যে তৃতীয় দফায় শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন

লোকসভা নির্বাচন: প্রশাসনিক রদবদলের পরেও রাজ্যে তৃতীয় দফায় শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনব্যাপক প্রশাসনিক রদবদলের পরেও তৃতীয় দফায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ হল নির্বাচন কমিশন। হুগলি, বর্ধমান, বীরভূম কিংবা হাওড়া। চার জেলার নটি কেন্দ্র থেকেই এল ব্যাপক সন্ত্রাসের খবর। কোথাও বুথ থেকে মেরে বের করে দেওয়া হল বিরোধী এজেন্টদের। কোথাও ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সাধারণ মানুষ। সর্বত্রই বেপরোয়া বুথ দখল, রিগিং, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। লিলুয়া, শালিমার, আমতা, জগতবল্লভপুর, সাঁকরাইল, পাঁচলা---হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় বুথ দখল, বিরোধী এজেন্টকে মারধর, তাঁদের বুথে বসতে না দেওয়া এরকম হাজারো অভিযোগ। বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-সবারই টার্গেট তৃণমূল।

বীরভূমে আবার তৃণমূলের টার্গেট চব্বিশ ঘণ্টা। ভেঙে দেওয়া হল আমাদের ক্যামেরা।

আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের খানাকুল, পুরশুড়া, ডোমজুড়, জাঙ্গিপাড়া-সহ নানা এলাকায় সেই একই অভিযোগ, একই ছবি। ভোটের আগের রাত থেকে ভয় দেখানো, দিনভর বাইক বাহিনীর টহল, হুমকি, অদৃশ্য নির্বাচন কমিশন...হরেক অভিযোগ,
তৃণমূলের অনেক সমর্থকও নাকি ভোট দিতে পারেননি। তাঁদের আটকেছেন দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা।

দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাপ দেওয়ায় বহু জায়গায় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের।

ছবিটা একই রকম ছিল শ্রীরামপুরেরর বিভিন্ন এলাকাতেও।

ভোটের নামে প্রহসনের অভিযোগে পথ অবরোধে বসেন কংগ্রেস প্রার্থী আবদুল মান্নান।

বীরভূম, বোলপুরের বিভিন্ন বুথেও একই অভিযোগ। বীরভূমের সব বুথকে অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছিল কমিশন। কিন্তু অধিকাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি।

বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের, বিশেষত রায়নার বহু বুথেও বিরোধী এজেন্টদের বসতে না দেওয়া, বুথ দখল, ছাপ্প ভোটের অভিযোগ উঠেছে। বহু জায়গায় দুপক্ষে সংঘর্ষও বেধে যায়। বর্ধমান শহরের ইছলাবাদ হাইস্কুলের সামনে আক্রান্ত হন সিপিআইএম নেতা অধিক্রম সান্যাল। ভাতারের কুড়ুল গ্রামে সিপিআইএম-তৃণমূল সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের কামারহাটিতে ভোট দিতে গিয়ে বেধড়ক মার খেলেন বিজেপি সমর্থক মা ও ছেলে। ছাপ্পা ভোটে বাধা দেওয়ায় লোবার আমুরি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে সিপিআইএমের পোলিং এজেন্ট আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। সদাইপুরের একটি বুথে ভোটারদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

বিরোধীদের ভোট দেওয়ায় কেতুগ্রামের পালিতা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটারদের পুড়িয়ে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠছে।

First Published: Wednesday, April 30, 2014, 18:57


comments powered by Disqus