Last Updated: February 14, 2012 16:19

উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটপর্বের মাঝে মুসলিম সংরক্ষণ প্রশ্নে নতুন করে বিতর্কে জড়াতে রাজি নয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ নির্বাচন কমিশনে নিজের মন্তব্যের জন্য `দুঃখপ্রকাশ` করে চিঠি লিখে স্পষ্ট করে দিলেন সে কথা।
বিতর্কের সূত্রপাত শনিবার। উত্তরপ্রদেশে নিজের স্ত্রী লুইস খুরশিদের নির্বাচনী প্রচারে এসে সলমন খুরশিদ জানান, ভোটে জিতলে অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় (ওবিসি)-র ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের মধ্যে ৯ শতাংশ পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির জন্য বরাদ্দ করা হবে। এমনকী নির্বাচন কমিশন তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেও তিনি এই মন্তব্য থেকে একচুলও সরছেন না বলেও জানান ফারুকাবাদের কংগ্রেস সাংসদ। খুরশিদের এহেন মন্তব্যকে `অবাধ্য ও উদ্ধত` আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে পাঠানো দু`পৃষ্ঠার চিঠিতে কমিশন জানায়, মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে ক্রমাগত মন্তব্যে নির্বাচন বিধিভঙ্গ করছেন খুরশিদ। কমিশনের চিঠি পেয়েই খুরশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।
প্রাথমিক ভাবে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ খুরশিদের পাশেই ছিল। এই অংশের বক্তব্য ছিল, কমিশন-নির্দেশিত `আদর্শ আচরণবিধির` কোনও আইনি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ভোটপর্ব চলাকালীন বিজেপির তরফে ক্রমাগত বিষয়টি তুলে ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে `মুসলিম তোষণ`-এর অভিযোগ আনা হতে থাকে। অন্যদিকে ওবিসি কোটার মধ্যেই সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বাড়ানোর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পিছড়ে বর্গের ভোটব্যাংকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয় ২৪ আকবর রোডের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। ফলে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন কমিশনের অধিকারের সীমারেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও ভোটের মুখে বিতর্ক এড়াতে শেষ পর্যন্ত খুরশিদকে দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করিয়ে বিষয়টিতে ইতি টানল কংগ্রেস।
First Published: Tuesday, February 14, 2012, 16:19