Last Updated: November 21, 2012 10:53

রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে বৃদ্ধির হার বাড়াতে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর্থিক ক্ষেত্রে আরও সংস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। ইতিবাচক বার্তা পেয়ে চাঙ্গা শেয়ারবাজারও। যদিও, সমীক্ষা বলছে, সংস্কারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের পরেও দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মন্দার প্রভাব কাটেনি।
এফডিআইয়ের পর এবার বিমা-পেনশন ক্ষেত্রেও আর্থিক সংস্কার নিয়ে আসতে উদ্যোগী কেন্দ্র। দাবি, এই ইতিবাচক পদক্ষেপে বাড়বে বিনিয়োগ, কমবে বেকারিত্ব। যদিও, শিল্পক্ষেত্রের বাস্তব চিত্র বলছে, আর্থিক সংস্কারে মোটেও কাটেনি মন্দা। বরং আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। সেপ্টেম্বরে দেশের শিল্পোত্পাদনের হার কমে গিয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। তার মধ্যে, ভারি শিল্প বৃদ্ধির হার নেতিবাচক। উত্পাদন শিল্পে নেতিবাচক বৃদ্ধি হয়েছে ১.৫ শতাংশ। খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার। যার প্রভাব পড়েছে শস্য, শাকসব্জি আর ভোজ্য তেলের দামে।
কৃষিজাত পণ্য রফতানির হারও গত বছরের তুলনায় ১.৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। যদিও আমদানির হার বেড়েছে ৭.৪ শতাংশ। যার অর্থ অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে দেশকে পণ্য আমদানি করতে হয়েছে। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের বিক্রি আগের থেকেও কমে গেছে। অর্থাত্ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় সেভাবে বাড়েনি।
কিন্তু, পুঁজির অনেকটাই খরচ হয়েছে। এর পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতির হার এখন সাত শতাংশের ওপরে থাকায় চিন্তিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এই হার পাঁচ শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত বাজারের অস্বস্তি কাটবে না বলেই মনে করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাই সংস্কারের ইতিবাচক বার্তায় শেয়ারবাজার চাঙ্গা হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশে শিল্পের বাজার এখনও রুগ্ন। এই পরিস্থিতিতেই শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের মুখোমুখি হবে কেন্দ্রীয় সরকার।
First Published: Wednesday, November 21, 2012, 10:53