Last Updated: May 20, 2013 09:41

চিটফান্ড কাণ্ডের জেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন নদিয়ার এক এজেন্ট। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনুমতি না নিয়ে একটি বেআইনি চিটফান্ড সংস্থা তাঁর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মালদার এক অশিক্ষক কর্মী। তাঁর অভিযোগ, ওই চিটফান্ড সংস্থার কয়েকজন এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী হওয়ায় বারবার জানানোতেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। সারদাকাণ্ডের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে চড়াও হচ্ছিলেন আমানতকারীরা। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ক্রমশই চাপ বাড়ছিল। র্যামেল এবং ন্যাপেলাইন সংস্থার হয়ে প্রায় কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছিলেন নদিয়ার রানাঘাটের সৌমিত্র কুমার দাস। পরিবারের দাবি, আমানতকারীদের চাপ সহ্য করতে না পেরেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন সৌমিত্রবাবু।
মালদার রতুয়ার বাসিন্দা আবদুল জব্বরের অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে তাঁর মোবাইল নম্বর নিজেদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে প্যাশিম প্রোমোটার্স লিমিটেড। বিষয়টি পুলিসকে জানিয়ে লাভ না হওয়ায়, সরাসরি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ করেন মাদ্রাসা স্কুলের অশিক্ষক কর্মী আবদুল জব্বর। তাঁর অভিযোগ, এরপরই সংস্থার কর্মীরা তাঁকে অপহরণ করে প্রায় একদিন ধরে তাঁর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। শেষে রতুয়া-মালদা রাজ্য সড়কের ওপর তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এবারও পুলিসের কাছে যান আবদুল জব্বর। পুলিস সুপারকেও বিষয়টি জানান। অভিযোগ, তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কিন্তু কেন?
সংস্থার অনেক কর্মী তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তাই নীরব পুলিস।
বাধ্য হয়েই এবার সুবিচার চেয়ে মালদা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আবদুল জব্বর। আবেদনে, তাঁর সুনাম ব্যবহার করে যে আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তা ফেরত দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
First Published: Monday, May 20, 2013, 09:41