Last Updated: June 15, 2014 21:12

ফের জঙ্গি শ্রমিক আন্দোলনে খুন হলেন কারখানার এক পদস্থ কর্তা। হুগলির ভদ্রেশ্বরে শ্রমিকদের বেধড়ক মারধরে মারা গেলেন নর্থ ব্রুক জুটমিলের সিইও এইচ কে মহেশ্বরী। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন মিলের জেনারেল ম্যানেজার ও নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাসখানেক আগে খুলেছিল ভদ্রেশ্বরের নর্থ ব্রুক জুটমিল। নতুন অর্ডার না আসায়, সমস্যা ক্রমশ বাড়ছিল। সমস্যা মেটাতে রবিবার সকালে নটি ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিইও এইচ কে মহেশ্বরী। বলেন, আপাতত কাজের সময় কাটছাঁট করে কিংবা চারদিন খোলা রেখে মিল চলুক। সমস্যা মেটানোর জন্য দু সপ্তাহ সময়ও চান তিনি। ইউনিয়ন জানায়, বিকেল চারটেয় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তাঁরা সিদ্ধান্ত জানাবেন। এর মাঝেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
মার খেয়ে মালিক লুটিয়ে পড়তেই, অবস্থা বেগতিক বুঝে পালিয়ে যান শ্রমিকরা। পরে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিস তিনজনকে উদ্ধার করে গৌড়হাটি ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে কলকাতা আনার পথেই মৃত্যু হয় মহেশ্বরীর। কারা দায়ী, তা না হয় তদন্তে বেরোবে। কিন্তু কেন এভাবে প্রাণ দিতে হল আটষট্টি বছরের মহেশ্বরীকে?
ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, এভাবে হামলা চালিয়ে সংস্থার সিইওকে মেরে ফেলা সত্যিই নজিরবিহীন হয়ে রইল। জুটমিলে অশান্তির পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ হামলায় হাত থাকতে পারে তৃণমূলেরই।
বিজেপি আর সিপিআইএম একযোগে চক্রান্ত করে এই হামলা চালিয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ করার পরেই পাল্টা অভিযোগ আসে বিরোধীদের তরফে। রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে বিজেপি এবং সিপিআইএম একযোগে হামলা করেছে বলে অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।
First Published: Monday, June 16, 2014, 12:30