`না` ভোটের সঙ্গেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছেন কী না তার প্রমাণ পাবেন ভোটদাতারা

`না` ভোটের সঙ্গেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছেন কী না তার প্রমাণ পাবেন ভোটদাতারা

Tag:  evm vote supreme court
`না` ভোটের সঙ্গেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছেন কী না তার প্রমাণ পাবেন ভোটদাতারাপ্রার্থীদের কাউকেই পছন্দ না। সেটা জানাতে ইভিএমে আলাদা বোতাম রাখার নির্দেশটা আগেই দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে আজ নয়া নির্দেশ। ইভিএমে যে প্রার্থীর নামের পাশের বোতামে চাপ দিলেন ভোটটা তাঁর ঘরেই গেল কিনা, সেটা দেখার সুযোগ পাবেন ভোটাররা। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট আর পরের বছরের লোকসভা ভোটেই ওই ব্যবস্থা চালু করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

ইভিএমে বোতাম টিপে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলেন। কিন্তু ভোটটা ঠিক জায়গায় পড়ল তো? মানে রামের ভোটটা শ্যামের ঘাড়ে গিয়ে পড়ল না তো? প্রশ্নটা অনেকের মনেই জাগে। কিন্তু ভোট দেওয়ার পরে যদি দেখেন সামনের স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে আপনার ভোটটা কার ঘরে গেছে, ছাপার হরফে সেই তথ্য, তাহলে নিশ্চয়ই নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

সেরকম ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশই দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পি সথাশিবম এবং বিচারপতি রঞ্জন গগই-এর ডিভিশন বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ধাপে ধাপে ওই ব্যবস্থা চালু করতে হবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট আর পরের বছরের লোকসভা ভোটে।

ব্যবস্থাটার পোশাকি নাম ভোট ভেরিফায়ার পেপার অডিট সিস্টেম, সংক্ষেপে ভিভিপাট। বছর তিনেক ধরেই এই ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছে কমিশন। সে জন্য গত ১৪ অগাস্ট কেন্দ্র আইনে প্রয়োজনীয় বদল করে দিয়েছে। আর গত ৪সেপ্টেম্বর নাগাল্যান্ডের নোকসেন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হাতে-কলমে পরীক্ষাও সেরে ফেলেছে কমিশন।

এবার সারা দেশে সেই ব্যবস্থা চালুর অপেক্ষা। আদালতে কমিশন দুটি সমস্যার কথা জানিয়েছে।

প্রথমত, ভারত ইলেকট্রনিক;আর ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন, দেশের এই দুটি মাত্র সংস্থা ইভিএম বানায়। লোকসভা ভোটের জন্য দরকার ১৩ লক্ষ ভিভিপাট সহ ইভিএম। এত কম সময়ে এত কাজ করা নিয়ে সংশয় জানিয়েছিল কমিশন।

দ্বিতীয় সমস্যাটা টাকার। ভিভিপাট ব্যবস্থা যুক্ত করতে ইভিএম পিছু দরকার ১২-১৩ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে দরকার অন্তত ১৫০০ কোটি টাকা।
টাকার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

মামলাটা করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনিয়ম স্বামী। তাঁর ইচ্ছে ছিল, ইভিএমে ভোট দেওয়ার পরে কাকে ভোট দিলেন সেই প্রিন্ট আউট হাতে নিয়ে বাড়ি যাবেন ভোটার। সেই ইচ্ছেপূরণ অবশ্য হবে না। ইভিএমে ভোট দেওয়ার পরে কাগজে ছাপাটা দেখা যাবে স্ক্রিনে। দেখা যাবে যাঁকে ভোট দিতে চেয়েছেন, তাঁর ঘরেই ভোট গেছে কিনা। এরপর সেই কাগজ কেটে পড়ে যাবে নিচে রাখা বাক্সে। সেই কাগজ থাকবে নির্বাচন কমিশনের জিম্মায়। ইভিএমে জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে কমিশন বের করবে সেই ব্রহ্মাস্ত্র।ভিভিপাট চালু হলে ভোট প্রক্রিয়াটা আরও স্বচ্ছ হবে। কী বলেন?

First Published: Tuesday, October 8, 2013, 21:31


comments powered by Disqus