Last Updated: August 3, 2012 17:02

অলিম্পিকে এবার তৈরি হচ্ছে বিশেষ আদালত। উপলক্ষ্যে পরিকাঠামোর পাশাপাশিই তৈরি হয়েছে বিশেষ আদালতও। অলিম্পিক চলাকালীন অপরাধের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতেই বিশেষ ফাস্টট্র্যাক কোর্ট তৈরি করেছে ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস। ২৪ ঘণ্টাই শুনানির সুবিধে থাকা ওই আদালতে প্রয়োজনে কাজ হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
অলিম্পিকের লন্ডনে অপরাধ করেও পার পাওয়ার কোনও সূযোগ নেই। কারণ অপরাধীর বিচারের প্রক্রিয়াটা চলবে অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে। সেকাজটা সম্ভব হচ্ছে ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের অলিম্পিক উপলক্ষ্যে চালু হওয়া বিশেষ ফাস্টট্র্যাক কোর্টে। অভিযোগটিকে আদৌ অলিম্পিক সংক্রান্ত অপরাধকে হিসেবে গণ্য করা যায় কিনা, তা ঠিক করতে অপরাধগুলিকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছে ক্রাউন প্রসেকিউশন সার্ভিস। প্রথমেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে অপরাধটি কখন এবং কীভাবে ঘটেছে। দেখা হচ্ছে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের পরিচয়ও। তাঁরা খেলোয়ার, দর্শক না আয়োজক? সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিভাগে মামলা শুরু হচ্ছে।
অভিযোগে দায়েরের একঘণ্টার মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে চার্জ গঠন। তারপর প্রতিশ্রুতি মতো চব্বিশঘণ্টার মধ্যেই শুরু হচ্ছে মামলার শুনানি। আর এত দ্রুত মামলা চালাতে গিয়ে আদালতও বসছে স্বাভাবিক সময়ের বাইরে। ক্রাউন প্রসেকিউশন সার্ভিসের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭ টা থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে আদালত। মধ্যাহ্ন বিরতি সেরে সেই আদালত চলছে সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। অবশ্য এরপরও প্রয়োজনে রাতেও বিশেষ শুনানির ব্যবস্থাও রয়েছে। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অভিযুক্তের বয়ান নেওয়ার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে অলিম্পিকের বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে।
First Published: Friday, August 3, 2012, 17:04