Last Updated: September 12, 2012 11:45

দলীয় তহবিলে আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করার অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০০৪ থেকে ২০১১, এই সাত বছরের মধ্যে দলের বাইরে থেকে পাওয়া আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত কোনও তথ্যই দেয়নি তৃণমূল। অবশ্য দলের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের রেকর্ড বলছে, বাইরে থেকে পাওয়া চাঁদা নিয়ে কোনও তথ্যই দেয়নি তৃণমুল কংগ্রেস।
দুর্নীতি বিরোধী লড়াকু ভাবমুর্তিকে বরাবরই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের হাতিয়ার করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বচ্ছ প্রশাসন গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন বারে বারে। কিন্তু এবার দলীয় তহবিলে আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠল সেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযোগ উঠেছে। যেকোনও রাজনৈতিক দলকেই দলীয় সম্পত্তির পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য দিতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। দলীয় সদস্য নন এমন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকার বেশি আর্থিক অনুদান নিলে, তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো বাধ্যতামুলক। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ২০০৪-০৫ থেকে ২০১০-১১, এই সাত বছরে প্রাপ্ত আর্থিক অনুদান নিয়ে কোনও তথ্যই কমিশনকে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।
একটি বেসরকারি সংস্থার আরটিআই আবেদনের ভিত্তিতে এই তথ্য সামনে এসেছে। কমিশনের তথ্য বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বছরে কংগ্রেসের আয়ের পরিমাণ ২০০৮ কোটি, বিজেপি আয়ের পরিমাণ ৯৯৪ কোটি টাকা। বিএসপির আয়ের পরিমাণ ৪৮৪ কোটি, সিপিআইএমের আয় ৪১৭ কোটি, সমাজবাদী পার্টির আয় ২৭৮ কোটি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের আয় ৮ কোটি ১২ লক্ষ টাকা।
তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়া হিসেবে দলীয় মুখপত্রে বিজ্ঞাপন, পত্রিকার বিক্রি এবং দলীয় কর্মীদের দেওয়া আর্থিক অনুদান থেকে আয়ের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু দলের বাইরে থেকে পাওয়া চাঁদা নিয়ে কোনও তথ্যই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তথ্য গোপনের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। কিন্তু ২০১০ সালের জুলাই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বাইরে থেকে প্রাপ্ত চাঁদা নিয়ে কোনও তথ্য নেই।
First Published: Wednesday, September 12, 2012, 13:09