Last Updated: November 4, 2013 10:13

ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল চেতলার দুটি কারখানা। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আগুন লাগে। দমকলের কুড়িটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। দিওয়ালির রাতে জমজমাট চেতলার রাখাল দাস আঢ্য রোড। আচমকাই প্লাস্টিক করখানা থেকে ধোঁয়া আর পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। নিমেষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলছে রাখাল দাস আঢ্য রোডের এই প্লাস্টিক কারখানা এবং তার পাশের প্লাইউড কারখানা।
দমকল আসার আগেই ঘিঞ্জি এলাকার কারখানার আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। ছুটে আসেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আসেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান এবং এলাকার সাংসদ সুব্রত বক্সি। আসেন পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। ঘিঞ্জি এলাকা। তার ওপর জলের সমস্যা। চারটি পাম্প বসিয়ে জল আনা হয় পাশের আদি গঙ্গা থেকে। আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজন দমকলকর্মী। তাঁদের নিয়ে যাওয়া এসএসকেএম হাসপাতালে। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা পর দমকলের কুড়িটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। বাজি থেকেই আগুন লাগে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নির্দিষ্টভাবে কী কারণে আগুন লাগে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে প্লাস্টিক ও প্লাইউডের কারখানা চলছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারখানায় আদৌ কোনও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল কিনা তাও জানা যায়নি।
First Published: Monday, November 4, 2013, 10:13