Last Updated: March 19, 2014 23:15
বনের ভিতর দিয়ে রাস্তা। সেই রাস্তায় গ্রামবাসীদের যাতায়াত নিয়ে বিরোধের জেরে আগুন জ্বলল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে ভাঙচুর হল রেঞ্জারের সরকারি বাসভবন। ভাঙচুর করা হয় জলদপাড়া ইস্ট ও ওয়েস্ট রেঞ্জ অফিসেও। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বন দফতরের রেস্ট হাউসে। ভাঙচুর হয় তিনটি সরকারি গাড়ি।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে গিয়েছে রাস্তা। জঙ্গল লাগোয়া একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা মাদারিহাট বীরপাড়া যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করে আসছেন বহুকাল ধরে । মাস ছয়েক আগে চালু হয় নতুন নিয়ম। বলা হয়, পথ পেরোতে হলে দিতে হবে টোলট্যাক্স। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় শালকুমার গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার প্রধানপাড়া, মুন্সিপাড়া সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাস দুয়েক ধরে বনকর্মীরা টোলট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। মঙ্গলবার বনকর্মীদের হাতে এক ছাত্র নিগ্রহে ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। সঞ্জয় বর্মন নামে মুন্সিপাড়ার এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জয়গাঁ থেকে বাইকে করে পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মোটরবাইক চালিয়ে আসার জন্য সঞ্জয়ের কাছে পাঁচহাজার পাঁচশ টাকা দাবি করেন বনকর্মীরা। তা দিতে না পাড়ায় সঞ্জয়কে বেধড়ক মারধর করা হয়। বুধবার সকাল থেকেই ধুন্ধুমার বেধে যায় জলদাপাড়া ইস্ট ও ওয়েস্ট রেঞ্জ অফিসের সামনে। রাস্তা ব্যবহারের দাবি নিয়ে জলদাপাড়া ইস্টের রেঞ্জার রঞ্জন তালুকদারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। রঞ্জন তালুকদারের সরকারি আবাসনে ভাঙচুর হয়। ভাঙচুর করা হয় তিন চারটি গাড়ি। জলদাপাড়া ইস্ট ও ওয়েস্ট রেঞ্জ অফিস তচনচ হয়। পুলিসের সামনেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বন দফতরের রেস্ট হাউসে।
সরকারি তরফে গ্রামবাসীদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। আহত ছাত্র সঞ্জয় বর্মন কে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
First Published: Wednesday, March 19, 2014, 23:15