শিয়ালদহে অগ্নিকাণ্ডে বলি ১৯, মৃতদেহের মিছিল মেডিক্যালে

শিয়ালদহে অগ্নিকাণ্ডে বলি ১৯, মৃতদেহের মিছিল মেডিক্যালে

শিয়ালদহে অগ্নিকাণ্ডে বলি ১৯, মৃতদেহের মিছিল মেডিক্যালেআমরি অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক ফিরে এল কলকাতায়। জগত্‍ সিনেমার পাশে সূর্য সেন মার্কেটে আগুন লেগে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জীবিত অবস্থায় ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেলা যত গড়িয়েছে ততই মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এনআরএস হাসপাতালে ৩টি মৃতদেহ এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ১৪টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন মেয়র ও দমকল মন্ত্রী।  মুখ্যমন্ত্রীর আগে ঘটনাস্থলে যান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক জন মহিলা ও ১৭ জন পুরুষ।

দেখুন মৃতদের নামের তালিকা

দেখুন সূর্য সেন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের প্রতি মুহূর্তের খবর



শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। পাঁচতলা বাজারের একতলায় প্রথম আগুন লাগে। পরে আগুন ছড়িয়ে পুরো চত্বরে। বাজারে কোনও রকম অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না বলে খবর।

আজ ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বহুতল মার্কেট থেকে আগুনের শিখা দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন মার্কেটের ভিতর ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই তা বদলে যায় মৃত্যুকূপে। দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন ও কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্যরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে৷

দেখুন অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও


কান্না আর শোকের ছায়া

ছবিতে জতুগৃহ সূর্য সেন মার্কেট


সকালে মার্কেটের ভিতর থেকে দমকলকর্মীরা পাঁচটি দেহ উদ্ধার করেন। এখনও অনেকে ভিতরে আটকে রয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে বিভিন্ন দোকানের কর্মীরা ওই মার্কেটে শুয়ে থাকেন। মার্কেটের ভিতর প্লাস্টিক ও কাগজের বেশ কয়েকটি গুদাম রয়েছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে আরও কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেখুন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য



শিয়ালদহে অগ্নিকাণ্ডে বলি ১৯, মৃতদেহের মিছিল মেডিক্যালে
দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান এই অগ্নিকাণ্ডের দায় কলকাতা পুরসভার ঘাড়ে চাপালেন।
এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শিখা মিত্র পুরসভার দিকে মারাত্মক
অভিযোগ তুললেন। শিখা মিত্র জানালেন, এক বছর আগে একাধিকবার মেয়র শোভন
চ্যাটার্জিকে চিঠি দিয়ে বাজারের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার দিকে দ্রুত
ব্যবস্থার নিতে বলেছিলেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই বাজারের
পিছনের দিকে আগুন লাগে। গোটা বিল্ডিংয়ে অনেকগুলি পাইস হোটেল ছিল। ছিল
কার্ডবোর্ড, প্লাইউড, রঙের দোকান। এছাড়াও স্টেশনারি জিনিসের দোকানও ছিল। ওই
দোকানগুলি ভস্মীভূত হয়েছে। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।




First Published: Wednesday, February 27, 2013, 17:18


comments powered by Disqus