আশ্রয় শিবিরে ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় কালিকাপুর বস্তিবাসীরা

আশ্রয় শিবিরে ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় কালিকাপুর বস্তিবাসীরা

আশ্রয় শিবিরে ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় কালিকাপুর বস্তিবাসীরাআগুনে ভস্মীভূত কালিকাপুর ৩ নম্বর বস্তির শতাধিক ঝুপড়ি। গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে রবিবার রাতে স্থানীয় একটি মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানেই রাত কেটেছে কয়েকশো মানুষের। তিল তিল করে গড়ে ওঠা সংসার পুড়ে গেছে এক নিমেষে। শোক, যন্ত্রণা বয়ে ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই অবশিষ্ট কিছু বেঁচে থাকার আশায় অনেকেই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন ছাইয়ের গাদা। ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়াদের নামের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে সকাল থেকে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যৌথ ভাবে ত্রাণ শিবিরে মেডিক্যাল ক্যাম্প শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে পূর্ণবাসন ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে এখনও একরাশ অন্ধকারে বস্তির বাসিন্দারা।
যদিও কালিকাপুর ৩ নম্বর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড এই প্রথম নয়। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল কালিকাপুর বস্তির সত্তরটি ঘর। বস্তিবাসীদের মনে এখনও দগদগে সেই স্মৃতি। সঙ্গে রয়েছে হতাশাও। পুরসভার তরফে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ঘর পুর্ণনির্মানের জন্য কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ওই পর্যন্তই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আজ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি কোনও টাকা।
এবারও সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে প্রতিশ্রুতি। এবারও মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বানিয়ে দেবে পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও অভিজ্ঞতায় ভরসা হারাচ্ছেন কালিকাপুর বস্তির কয়েকশো বাসিন্দা। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তাঁরা।

First Published: Monday, January 23, 2012, 14:34


comments powered by Disqus