Last Updated: December 18, 2011 12:48

সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেশ হতে চলেছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা বিল। গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় এই বিলে। এর ফলে দেশের ৬৩ শতাংশের বেশি মানুষের ভর্তুকিতে চাল-গম-খাদ্যশস্য পাওয়ার পথ আরও সুগম হবে বলে দাবি সরকারের। যদিও এই বিলের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের অন্দরেই। রবিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখানো হয়। পরে পুলিস বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে সরিয়ে নিয়ে যায়।
রবিবার সন্ধায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরই সিলমোহর পড়ে যায় জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা বিলে। এর আগে শরিকদের মতপার্থক্যে বারবার পিছিয়ে গিয়েছে এই বিলে অনুমোদনের বিষয়টি। তবে এবার আর তা হয়নি। দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে ভর্তুকিতে চাল-গম সহ খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রশ্নে এই বিল অত্যন্ত উপযোগী হবে বলে দাবি সরকারের।
বিল অনুযায়ী, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে মোট ৭ কেজি খাদ্যশস্য পাওয়ার অধিকারী হবেন। যার মধ্যে থাকবে ৩ টাকা কেজি দরে চাল, ২ টাকা কেজি দরে গম। খাদ্য সুরক্ষা বিলে নজরে রাখা হয়েছে মিড-ডে মিলের বিষয়টিকেও। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা এই সুবিধা পাবে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও পাবেন ছ'হাজার টাকা করে। এমনকী খরা কিংবা বন্যার জন্য সরকার কোনওভাবে চাল-গম বা অন্যান্য শস্য দিতে না পারলে, পরিবর্তে গ্রাহকদের হাতে হাতে অর্থ দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে এই বিলে।
যদিও ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রশ্নের মুখেও পড়েছে খাদ্য সুরক্ষা বিল। এই বিলকে বাস্তবায়িত করতে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু কোথা থেকে এত বিপুল অর্থের যোগান হবে, তার উত্তর এখনও অজানা। খাদ্য সুরক্ষা বিলটি আইনে পরিণত হলে চাল-গম সহ খাদ্যশস্যে সরকারের দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণ ২৭,৬৬৩ কোটি টাকা বেড়ে যাবে।
অন্যদিকে, বাড়তি খাদ্যশস্যের যোগানের দিকটি নিয়েও চিন্তার অবকাশ রয়েছে। কারণ, ৫৫ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্যের বদলে নতুন ব্যবস্থায় দরকার হবে ৬১ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য। যদিও সরকারের পাল্টা দাবি, এর ফলে উত্পাদন বাড়ায় কৃষিক্ষেত্র উপকৃত হবে এবং খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার প্রবণতাও বন্ধ হবে। রবিবার বিলটি অনুমোদন পাওয়ার আগে থেকেই অবশ্য এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
First Published: Monday, December 19, 2011, 15:26