গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে

গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে

গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলেঅতীতে মেঘালয়ের পিএ সাংমা, ত্রিপুরার সুধীররঞ্জন মজুমদার কিংবা মনিপুরের আর কে দোরেন্দ্র সিংয়ের মত রাজ্য রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের দলে টেনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেষ্টা করেছেন, ভোটের পাটিগণিতে লাভের অঙ্ক ঘরে তুলে `অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস`কে প্রকৃত অর্থে একটা সর্বভারতীয় অবয়ব দিতে। এবার সেই কৌশল অনুসরণ করেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উইলফ্রেড ডি সুজা`র হাতে জোড়া ফুলের পতাকা তুলে দিচ্ছেন তিনি।

নয়ের দশকের গোড়ায় নরসীমা রাওয়ের জমানায় প্রথম কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের আশীর্বাদে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন উইলফ্রেড। বছর কয়েক পরেই দলীয় গোষ্ঠীসংঘাতে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পর কংগ্রেস ছেড়ে `গোয়া রাজীব কংগ্রেস` নামে নতুন দল গড়েন তিনি। বিজেপি ও মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টি`র সঙ্গে জোট বেঁধে ফের বসেন মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে। পরবর্তীকালে শরদ পাওয়ারের এনসিপি`র সঙ্গে গোয়া রাজীব কংগ্রেস`কে মিশিয়ে দেন তিনি। কিন্তু ২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে হেরে যান উইলফ্রেড। এর পর মিকি পাচেকোর নেতৃত্বাধীন এনসিপি`রই প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।

সম্প্রতি ফের কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন উইলফ্রেড। নিজের ছেলে টুলিও ডি সুজাকে সালিগাঁও আসনে প্রার্থী করার জন্য হাইকম্যান্ডের কাছে তদবিরও শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২৪ আকবর রোডের তরফে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। এর আগে অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভা ভোটে এক ঝাঁক বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাকে দলে টেনে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। এবার গোয়াতেও একই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিনই মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় জানিয়েছেন, গোয়ার বিধানসভা ভোটে অংশ নেবেন তাঁরা।

অন্য দিকে বিধানসভা ভোটের আগে গোয়ায় এনসিপি`র ভাঙন আরও প্রকট হয়েছে। দলের বিধায়ক তথা প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী মিকি পাচেকো দলীয় সদস্যপদ এবং বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজের স্ত্রী ভায়োলা`র গড়া দল `গোয়া বিকাশ পার্টি`তে সামিল হয়েছেন।





First Published: Tuesday, January 3, 2012, 00:05


comments powered by Disqus