Last Updated: October 20, 2011 17:37

নিহত মুয়াম্মর গদ্দাফি। লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সির্তেতে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে ঠিক কীভাবে গদ্দাফির মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি কাটেনি। প্রথমে খবর ছিল গদ্দাফিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরে। নিহত হয়েছেন গদ্দাফি জমানার লিবিয়ার সেনাপ্রধানও। তবে গ্রেফতার করা হয়েছে গদ্দাফিপুত্র মুতাসিম ও গদ্দাফির কয়েকজন অনুগামীকে।
কয়েক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর মুয়াম্মর গদ্দাফির জন্মস্থান সির্তের দখল নেয় লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সেনা। সির্তের পতনের কিছুক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে মুয়াম্মর গদ্দাফিকে। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে জল্পনার মাঝেই লিবিয়ার টেলিভিশনও সম্প্রচার করে, সেনার হাতে ধরা পড়েছেন গদ্দাফি।
এর কিছুক্ষণ পরেই সির্তে থেকে খবর আসে, গদ্দাফি নিহত। ঘণ্টাখানেক পর লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেন।
কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল আরব দুনিয়ার এক সময়ের অবিসংবাদী নায়কের। তা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটেনি। একদল সেনার দাবি, একটি গর্তে লুকিয়ে ছিলেন গদ্দাফি। তাঁকে ঘিরে ফেলা হলে গদ্দাফি নাকি চিত্কার করেন গুলি না চালাতে। এরপরই সেনারা গুলি চালায়। অন্য একটি সুত্রে দাবি করা হয়, গুলিতে মারাত্মক আহত গদ্দাফিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। আরেকটি সুত্রের দাবি, ঘিরে ফেলার পর গদ্দাফি পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে মাথায় গুলি করা হয়।
লিবিয়ার এনটিসি সুত্রে খবর, সির্তে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গদ্দাফির পুত্র মোতাসিম, পূর্বতন সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম ও গদ্দাফির গোয়েন্দা প্রধান আল সেনুসিকে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন সেনাপ্রধান আবু বকর জবরের।
গদ্দাফির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উল্লাস দেখা দিয়েছে বিরোধী শিবিরে। ত্রিপোলি থেকে মিসরাতা, সির্তে থেকে বেনগাজি, সর্বত্রই পথে নেমে পড়েন মানুষ। এনটিসি সুত্রে জানা গেছে নিরাপত্তার কারণে গদ্দাফির দেহ একটি গোপন স্থানে রাখা হয়েছে।
First Published: Thursday, October 20, 2011, 21:07