Last Updated: October 10, 2011 11:26

মুম্বইয়ের মেরিন লাইনসের চন্দনওয়াড়ি শ্মশানে জগজিত্ সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মঙ্গলবার। সোমবার সকালে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে মৃত্যু হয় গজলসম্রাটের। মস্কিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য তেইশে সেপ্টেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র মহল। অ্যালবাম ছাড়াও বহু ছায়াছবিতে গান গেয়েছিলেন তিনি। জগজিত্ সিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।গজল সম্রাট জগজিত্ সিংয়ের জীবনাবসানে শোকাহত সঙ্গীত মহল। সোমবার সকাল আটটা নাগাদ মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে জীবনাবসান হয় তাঁর।উনিশ`শ একচল্লিশ সালের আটই ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে জন্ম হয় এই খ্যাতনামা গজল শিল্পীর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল সত্তর বছর। আশির দশকে বলিউডে সঙ্গীত মহলে দাপটের সঙ্গে গান গেয়েছেন তিনি। হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি এবং নেপালি সহ বহু ভাষায় সমান দক্ষতায় গান গেয়েছেন তিনি। পদ্মভূষণে ভূষিত জগজিত্ সিং-ই গজলকে প্রথম জনসাধারণের ধরাছোঁয়ার মধ্যে এনে দেন।শুধুই গায়ক নন। তিনি ছিলেন সুরকারও বটে। পার্সি বা উর্দু ভাষার গজল ভারতের শ্রোতাদের অনেকরই বোধগম্য হত না।
কাগজ কি কাসতি, চাক জিগর কে, কাল চাঁদনি কি রাত থি এই সব গানে জগজিত্ সিং গালিব, কাতিল সিফাই, ফিরক গোরকপুরি, নিদা ফজলি এবং সুদর্শন ফকিরের সহজ কথায় মনমাতানো সুর দিয়ে গজলকে অন্য এক মাত্রা এনে দেন।
প্রেমগীত, সাথ সাথ, এবং আর্থের মতো প্রায় ষাটটি ছবিতে এবং একাধিক অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি।
ছোটপর্দায় একাধিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির কবিতার অ্যালবামেও শোনা গেছে তাঁর উদাত্ত কন্ঠস্বর।
গত তেইশে সেপ্টেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরিভত্তিতে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে সারাক্ষণ আইসিসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা থাকায় রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। তবে শেষরক্ষা হয় না।সঙ্গীতের দুনিয়ায় এক যুগের অবসান হল। অবসান হল জগজিত্ যুগের।
First Published: Wednesday, October 12, 2011, 12:35