Last Updated: November 25, 2012 17:03

টেণ্ডার বহির্ভূত গাছ কাটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার ভগবানপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গুড়গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধেই নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।
সম্প্রতি ভগবানপুর পঞ্চায়েত থেকে ২৫৬টি গাছ কাটার টেণ্ডার হয়েছিল। অথচ ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা ৩০০-র বেশি গাছ কাটায়, সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গুড়গ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের এক মহিলা সদস্যা। মৌখিক প্রতিবাদে কাজ না হওয়ায় বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে সাংসদ, বিধায়ক, বন দফতরের আধিকারিকদের থেকে শুরু করে জেলা সভাধিপতি, এসডিও এবং বিডিও-কে তিনি জানান। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানান বলে দাবি ওই পঞ্চায়েত সদস্যার। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়ে ২৫৬টির বেশি গাছ কাটা হয় বলে স্বীকার করেন খোদ বিডিও। এরপরই স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা। তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ।
দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় এক ঠিকাদার জড়িত বলে দাবি ওই মহিলার। প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানান তৃণমূল কংগ্রেসেরই লোকজন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীকে মারধর করেন। ভগবানপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিস প্রথমে এফআইআর নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি ওই মহিলার। পরে একটি সাধারণ ডায়েরি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে তারা। ঘটনার পর আতঙ্কে দল ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা।
First Published: Sunday, November 25, 2012, 17:03