জ্বালানীর ব্যবহার কমাতে রাতে বন্ধ হতে পারে পেট্রোল পাম্প

জ্বালানীর ব্যবহার কমাতে রাত ৮টার পর বন্ধ হতে পারে পেট্রোল পাম্প

Tag:  petrol pump
জ্বালানীর ব্যবহার কমাতে রাত ৮টার পর বন্ধ হতে পারে পেট্রোল পাম্প জ্বালানীর ব্যবহার কমাতে রাতে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিল পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। ডলারের  তুলনায় টাকার দাম পড়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে তেল আমদানির খরচ বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় জ্বালানীর ব্যবহার কমানোই একমাত্র পথ বলে মনে করেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ভীরপ্পা মইলি। তাই তাঁর প্রস্তাব, সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা রাখা হোক পেট্রোল পাম্প। তবে মন্ত্রীর এই প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দল বিজেপি। 

সকাল ৮ট থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা রাখা হোক পেট্রোল পাম্প। জ্বালানীর ব্যবহার কমাতে এই অভিনব প্রস্তাব পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের। পেট্রোলিমায় মন্ত্রী ভীরপ্পা মইলি জানিয়েছেন, জ্বালানীর ব্যবহারে  হ্রাস টানতে মন্ত্রকের একাধিক পরিকল্পণা রয়েছে। যার মধ্য অন্যতম হল রাতে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা। তিনি বলেন, দেশের আশি শতাংশ পেট্রোল আমদানি করতে হয়। এবং সেই তেল ডলার দিয়ে কিনতে হয়। ফলে ডলারের দাম বাড়তে থাকায় জ্বালানীর উপর প্রভাব পড়ছে।

টাকার সামপ্রতিক পতনে তেল সংস্থাগুলির লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। ফলে বাধ্য হয়েই এবার মন্ত্রককে কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান ভীরপ্পা মইলি। তার মতে জ্বালানীর ব্যবহার না কমলে দেশের অর্থনীতিতে  তার প্রভাব পড়বে। তাই ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বালানীর ব্যববহার কমাতে দেশজুড়ে একাধিক কর্মসূচি নিতে চলেছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক।

ভীরপ্পা মইলির দাবি, জ্বালানী ব্যবহার তিন শতাংশ কমলেও আনুমানিক ১৬ হাজার কোটি টাকা বা ২৫০ কোটি ডলার বাঁচবে। তবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর প্রস্তাবকে অবাস্তব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে মন্ত্রীর এই পদক্ষেপ থেকেই  স্পষ্ট যে পরিস্থিতি কেন্দ্রের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাঁরা আরও মনে করেন, যেভাবে প্রায় প্রতি মাসেই জ্বালানীর দাম বাড়চ্ছে, খুব শীঘ্রই তা সাধারণ মানুষের ক্রম ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর এই অভিনব প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শাহনাওয়াজ হুসেন বলেন, শুধু পেট্রোল পাম্প কেন। গোটা দেশকেই বন্ধ করে দিতে চায় মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার।

First Published: Monday, September 2, 2013, 09:56


comments powered by Disqus