আগুনরোধে কতটা সুরক্ষিত শহরের সরকারি হাসপাতাল? Government Hospital scenario

আগুনরোধে কতটা সুরক্ষিত শহরের সরকারি হাসপাতাল?

আগুনরোধে কতটা সুরক্ষিত শহরের সরকারি হাসপাতাল?অগ্নি নির্বাপণ বিধি না মানলে তার পরিণতি কত করুণ এবং ভয়াবহ হতে পারে তারই সাক্ষী ঢাকুরিয়ার এএমআরআই। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের চিত্রটাই বা কী ? কতটা সুরক্ষিত সেখানকার রোগীরা। মেডিক্যাল কলেজ, এই হাসপাতালের বহু পুরনো বিল্ডিং এম সি এইচ। কিন্তু এই বিল্ডিং-এর নীচেই রয়েছে কফিহাউস। রীতিমতো উনুন জ্বালিয়ে নিত্যদিন রান্নাবান্না হয় সেখানে। অথচ এই কফি হাউসের উপরেই রয়েছে আইসিইউ, কার্ডিওলজি সহ আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। শুধু মেডিক্যাল কলেজই নয় নীলরতন হাসপাতাল চত্বরেও ধরা পড়ল আরেক ছবি। আগুন লাগলে মানুষ পালানোর পথ পাবেন কী না তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কারণ এনআরএসের সিড়ি এবং লিফট একই জায়গায়। ফলে আগুন লাগলে মানুষ কোথা দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচবেন তার উত্তর অজানা। আরজিকরের  অবস্থা একই। সিড়ি এবং লিফট একই জায়গায় হওয়া সত্ত্বেও নির্বিকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার কথা ভেবে কোনও দ্বিতীয় বিকল্পের পথে হাঁটেননি কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে পরিষেবার দিকে প্রথম স্থানের অধিকারী এসএসকেএম। কিন্তু রোগীরা কতটা সুরক্ষিত তাই নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রশাসনিক ভবনের পিছনে বেসমেন্টে রয়েছে রেকর্ড রুম। রেকর্ড রুমটি জতুগৃহ। যেকোনওদিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে চরম বিপাকে পড়বেন রোগীরা। রোজ দূরদূরান্ত থেকে বহু রোগী আসেন সরকারি হাসপাতালগুলিতে। চিকিত্‍সা শেষে ফিরেও যান । কিন্তু কোন বিপদ পেরিয়ে বাড়ি ফিরলেন তারা তা অজানাই থেকে যায় তাদের।  






First Published: Saturday, December 10, 2011, 23:31


comments powered by Disqus