Last Updated: October 15, 2012 11:41

এবিজি-কে অযোগ্য প্রমাণ করে হলদিয়া থেকে তাড়াতেই তড়ঘড়ি ডাকা হয়েছে টেন্ডার। পছন্দের কিছু সংস্থাকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টাও রয়েছে এই উদ্যোগের পিছনে। হলদিয়া বন্দরের দুটি বার্থে পণ্য খালির টেন্ডার পদ্ধতি খতিয়ে দেখে এমনই সন্দেহ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তড়িঘড়ি টেন্ডার ডাকার মাধ্যমেই বিদায়বার্তা দেওয়া হয়েছে এবিজি-কে। এমন অভিযোগ উঠছে কারণ যে অছি পরিষদের বৈঠকে এবিজি-কে চরম সময়সীমা দেওয়া হয়, তার আগেই কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় টেন্ডারের বিজ্ঞাপন। অছি পরিষদ বৈঠকে বসে ১২ই অক্টোবর। বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়, তার আগেই। বন্দরের এক আধিকারিকের সাফাই, জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতেই এই উদ্যোগ। টেন্ডারের যৌক্তিকতা ও পদ্ধতি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রিপ্লে অ্যান্ড কোম্পানি, এএম এন্টারপ্রাইজ এবং জে এম বক্সি এই তিন কোম্পানি টেন্ডারে অংশ নিয়েছে।
সবচেয়ে কম দরপত্র দিয়েছে জে এম বক্সি। প্রথমে টন প্রতি ৩৫ টাকা দরপত্র দেয় তারা। সূত্রের খবর বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের দরপত্র স্থির হয়েছে টনপ্রতি পণ্যের হিসেবে ২৭ টাকা। কিন্তু, এবিজি পণ্য খালি করত টনপ্রতি দশ টাকা হিসেবে। অর্থাত্ টন প্রতি ১৭ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে হলদিয়ায় ওই দুই বার্থে পণ্য খালি করা হবে। অর্থাত্ প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে জমে থাকা পণ্য খালি করতে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠছে বিশেষ কিছু সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই তড়ঘড়ি টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত। সেই কারণেই, শুধুমাত্র কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে মাত্র তিনটি সংস্থা টেন্ডারে অংশ নিয়েছে বাণিজ্য মহলে খবর, জে এম বক্সি একটি ক্লিয়ারিং সংস্থা। হ্যান্ডলিং সংস্থা নয়। অর্থাত্ যে কাজের বরাত তাদের দেওয়া হয়েছে তার অভিজ্ঞতা ও পরিকাঠামোই তাদের নেই। টেন্ডারের গোপনীয়তার অজুহাতে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই। কেন এবিজি-কে দেওয়া সময়সীমা ফুরোনোর আগেই, পণ্য খালির টেন্ডার ডাকা হল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাণিজ্য মহলের একাংশের ধারনা এবিজি- কে অযোগ্য প্রমাণ করতেই এই উদ্যোগ।
First Published: Monday, October 15, 2012, 12:03