Last Updated: October 18, 2013 23:06

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের সময় সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধীদেরও মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ছিল বিরোধীদের। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পূরণে অনড় ছিলেন হাসিনা। শেষ পর্যন্ত একটু নরম হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যৌধ মন্ত্রিসভার তত্বাবধানে ভোট করানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। হাসিনা বলেছেন, "আমরা সকল দলকে সঙ্গে নিয়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চাই।" এ জন্য বিরোধীদেরও যৌথ মন্ত্রিসভায় সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "বিরোধীদলের কাছে আমার প্রস্তাব, নির্বাচনকালীন সময়ে আমরা সকল দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।"
২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তদারকিতেই। ক্ষমতায় এসে সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচিত সরকারের পুরো সময় ক্ষমতায় থাকার আইন আনে আওয়ামি লিগ। প্রতিবাদে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী বিএনপি। সন্ত্রাস ও হিংসায় জ্বলেছে বাংলাদেশ। যৌথ মন্ত্রিসভা গঠনের ঘোষণায় তাই শান্তির আহ্বানও জানিয়েছেন মুজিবকন্যা।
তিনি বলেছেন, "বোমা মেরে, আগুন জ্বালিয়ে, জনগণের জান-মালের ক্ষতি করবেন না। আসুন দেশ ও জাতির কল্যাণের স্বার্থে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করি। যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম একটি সুন্দর সমাজ পায়। একটি সুন্দর সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলতে পারি।"
আওয়ামী লিগ সরকারের আমলে মোট ৫,৭৭৭টি ছোটোবড় নির্বাচন হয়েছে বাংলাদেশের। সেসব নির্বাচনে যে অনেক বিরোধী প্রার্থীো জিতেছেন, তাও জানাতে ভোলেননি হাসিনা।
First Published: Friday, October 18, 2013, 23:06