Last Updated: April 2, 2012 15:42

সম্ভবত মঙ্গলবার থেকেই সকালের পাশাপাশি বিকেলেও ৩ ঘণ্টার জন্য চালু হতে চলেছে হাতিবাগান বাজার। ৩ দিন আগেই সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চালু হয়েছে কাঁচাবাজার। ব্যবসায়ি সমিতি ও পুরসভার মধ্যে বৈঠকের পর বিকেলেও ৩ ঘণ্টা বাজার বসানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে নেওয়া হবে মঙ্গলবার।
গত ২২ মার্চ বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় উত্তর কলকাতার ঐতিহ্য এই বাজার। ঘটনার ১২ দিন পর ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে হাতিবাগানে আংশিক বিক্রিবাট্টা শুরু করেন ব্যবসায়িরা। তবে মাত্র ৩০ শতাংশ জায়গাই ব্যবসাযোগ্য। তারইমধ্যে ঠাসাঠাসি করে জায়গা করে নিয়েছেন শ তিনেক ব্যবসায়ি। তবে সেই ব্যবসায়িরা সকলেই কাঁচা সবজি, চাল, ডাল বা মাছের কারবারি। সকাল ৯টা বাজলেই মাইকিং করে ক্রেতা-বিক্রেতাকে জানানো হচ্ছে, পুরকর্মীদের কাজের সুবিধার্থে তারা যেন বাজার ছেড়ে চলে যান। যারা ব্যবসা শুরু করতে পেরেছেন, তারা কোনওক্রমে জীবনধারণের রসদ খোঁজার চেষ্টা করছেন। যারা পাননি তাদের যন্ত্রণার শেষ নেই। ধ্বংসস্তপের দিকে তাকিয়ে পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণের আশায় দিন কাটছে তাঁদের।

হাতিবাগান বাজারের পুড়ে যাওয়া অংশের মালিক কে কে সাহা ঘটনার পরের দিন থেকেই নিখোঁজ। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারির ভাবনাচিন্তা করছে পুলিস। অন্যদিকে অক্ষত অংশের মালিক বিমল বণিক আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করে বিফল হয়েছেন। এই ২ মালিকের জাঁতাকলে আতান্তরে পড়েছেন ব্যবসায়িরা।
First Published: Monday, April 2, 2012, 16:12