Last Updated: March 20, 2014 13:12

২৯ মার্চের টেট পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানোর জন্য আরএলএসটির পরীক্ষার ওপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ প্রসঙ্গে জটিলতার জেরেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১২ সালের টেট পরীক্ষা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন অর্থাত্ এনসিটিই-র নিয়ম মেনে হয়নি। এই অভিযোগে হাইকোর্টের মামলা হয়। শুনানির সময় সে অভিযোগ স্বীকার করে নেয় রাজ্য।
এদিকে ৩১ মার্চের পর কোনও প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীকে নিয়োগ করা যাবে না বলে গত অক্টোবরেই নির্দেশিকা জারি করে এনসিটিই। এরপরই ২৯ মার্চ টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীনদের ভবিষ্যত কী হবে, সে বিষয়টিও হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার উনত্রিশে মার্চের টেট পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট।
বিশেষজ্ঞ মহল দূষছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দূরদর্শিতাকেই। তাঁদের মতে, এসএসসির দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যই প্রায় ছ লক্ষ পরীক্ষার্থী বিপাকে পড়লেন। কিন্তু কমিশনের চেয়ারম্যানের আশ্বাস, তাঁরা আইনগত দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
প্রশ্ন উঠছে, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষা কেন এনসিটিই-র নিয়ম মেনে হয়নি? প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এনসিটিই-র বেঁধে দেওয়া একত্রিশে মার্চের সময়সীমা কী জানত না এসএসসি কর্তৃপক্ষ? যদি এনসিটিই-র সময়সীমা সম্পর্কে ওয়াকিবহালই ছিল কমিশন, তাহলে কেন আগে টেট পরীক্ষা নেওয়া হল না? বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, পরীক্ষা নেওয়ার আসলে কোনও তাগিদই ছিল না এসএসসির কর্তৃপক্ষের। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই তড়িঘড়ি পরীক্ষাটার আয়োজন।
First Published: Thursday, March 20, 2014, 21:10