Last Updated: October 26, 2013 10:29

ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল। গতকালের পর আজও দুই রাজ্যে বঙ্গোপসাগারে ঘূর্ণাবতের জেরে ভারি বৃষ্টি চলেছে। দুই রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাই জলের তলায়। স্থানীয়রা বলছেন, এইরকম মারাত্মক বৃষ্টি তারা অন্তত ২৫ বছরের মধ্যে দেখেননি।
চার দিনের টানা বৃষ্টিতে অন্ধ্রে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রে ৬৭ হাজারের মত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। উপকূল অন্ধ্রের পাশাপাশি তেলেঙ্গানাতেও ব্যাপক বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কটকের রাস্তায় রাস্তায় জমে জল। এখানে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ম্যাচ হওয়ার কথা, অথচ এখানে চারিদিকে শুধু জল আর জল।
বন্যার জেরে সাইক্লোন বিদ্ধস্ত গঞ্জাম জেলার পাঁচটি ব্লক ও গজপতি জেলার বেশ কিছু অংশের মোট ১২৯টি গ্রামের ২লাখের বেশী মানুষ রাজ্যের বাদ বাকী অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন।
গঞ্জাম ছাড়াও গজপতি, কান্ধামল, খুরদা, পুরি, কটক, জগতসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ ও নয়াগড়ে একটানা বৃষ্টি ও বন্যার গুরুতর প্রভাব পড়েছে।
সাইক্লোনের পর গত চারদিনের একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে নদী গুলির জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করে ভাসিয়েছে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।
ওড়িশার ৩০টি জেলার মধ্যে ১৭টি জেলার ১কোটি ২০ লক্ষ মানুষের জীবন এই একটানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত।
বন্যা বিদ্ধস্ত অঞ্চলে স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
সমুদ্রতীরবর্তী নীচু অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে নবীন পট্টনায়েক প্রশাসন।
First Published: Saturday, October 26, 2013, 13:09