Last Updated: October 9, 2011 17:02

চিনের বৈশিষ্ট্য মেনে সমাজতন্ত্রের আদর্শে পরিচালিত হয়েই চিনের উত্থান সম্ভব। যার চালিকাশক্তি নিহিত রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে। রবিবার এই ভাষাতেই বেজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে দেশবাসীকে
সমাজতন্ত্রের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করলেন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। উপলক্ষ ছিল উনিশশো এগারোর বিপ্লব বা জিনহাই বিপ্লবেরর শতবর্ষপূর্তি। খ্রিস্টপূর্ব দুশো একুশ অব্দে সম্রাট কুইনশিহুয়ান চিনে যে রাজতন্ত্রের সূচনা করেছিলেন, কুইং সাম্রাজ্যকে উত্খাত করার মধ্যে দিয়ে সেই একনায়কতন্ত্রের অবসান। দু'হাজার বছরের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে উনিশশো এগারোর দশই অক্টোবর হুবেই প্রদেশের উচাঙে শুরু হয়েছিল সশস্ত্র জিনহাই বিপ্লব। জিনতাও বলেন, ওই বিপ্লবের পর গত একশো বছর সঠিক পথ এবং চালিকাশক্তিই চিনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে এবং সম্ভবপর করেছে চিনের উত্থান। সমাজতন্ত্রই সেই পথ এবং চিনের কমিউনিস্ট পার্টি তার শক্তি। হু জিনতাও মনে করেন, এই পথ তৈরি হয়েছে ইতিহাসের শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। যা চিনের বাস্তবতা এবং সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং চিন ও তার নাগরিকদের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে তিনি দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি, সামাজিক উন্নয়নের উপরেও জোর দেন। গুরুত্ব আরোপ করেন, পরিবেশরক্ষায় সচেতনতার ব্যাপারে।
First Published: Sunday, October 9, 2011, 21:32