বালাকৃষ্ণনের সম্পত্তি নিয়ে রিপোর্ট দিল আয়কর দফতর

বালাকৃষ্ণনের সম্পত্তি নিয়ে রিপোর্ট দিল আয়কর দফতর

বালাকৃষ্ণনের সম্পত্তি নিয়ে রিপোর্ট দিল আয়কর দফতরসুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে এবার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কে জি বালাকৃষ্ণন ও তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি রাখার অভিযোগ নিয়ে সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার আয়কর দফতরের তরফে বালাকৃষ্ণন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট `সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস`-এর কাছে দাখিল করা হয়েছে। সূত্রে খবর, আয়কর দফতরের মুম্বই এবং কোচি শাখার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই তদন্ত রিপোর্টে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দুই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে কালো টাকা সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়ার নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের এক বেঞ্চ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কে জি বালাকৃষ্ণন এবং তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে বেআইনি ভাবে ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি সংগ্রহের অভিযোগ সম্পর্কে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রকে। এ ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে জবাবদিহি করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহনবতীকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১২ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০১০-এর ১২ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন কে জি বালকৃষ্ণন। বর্তমানে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। কয়েক মাস আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে বালকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের আগে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর আত্মীয়দের সম্পত্তির বিষয়টি শীর্ষ আদালতেরও গোচরে আনা হয়। সোমবার সেই মামলায় অভিযোগকারী পক্ষের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরও পুরো বিষয়টি নিয়ে নিশ্চেষ্ট রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যানের পদ থেকে কে জি বালাকৃষ্ণনের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পেয়েই বালাকৃষ্ণনের সম্পত্তি নিয়ে দ্রুত তদন্তের জাল গোটাতে সক্রিয় হল আয়কর দফতর।

First Published: Tuesday, February 14, 2012, 17:38


comments powered by Disqus