Last Updated: February 16, 2013 12:15

ব্যবস্থা আর প্রাক্তন মন্ত্রীর বঞ্চনায় শর্মা পরিবারের আরও একজনের প্রাণ গেল। গীতিকা শর্মার মৃত্যুর ছ`মাসের মাথায় আত্মহত্যা করলেন তাঁর মাও। গত অগাস্ট মাসে দিল্লির অশোক বিহারের বাড়ি থেকে গীতিকা শর্মার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার সেই ঘরেই গীতিকার মা অনুরাধা শর্মা একই ভাবে নিজের জীবন শেষ করে দেন।
অনুরাধা তাঁর শেষ চিঠিতে লিখে গিয়েছেন গীতিকার মৃত্যুর শোঁক তিনি কখনই কাটিয়ে উঠতে পারেননি। দিল্লি পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পি করুণাকরণ জানিয়েছেন, "আমরা ঘর থেকে একটি সুইসাইট নোট পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন অনুরাধা শর্মা।" মৃত্যুর আগেও গীতিকার আত্মহত্যার জন্য অরুণা চড্ডা ও গোপাল কান্ডাকেই দায়ী করেছেন তাঁর মা।
পুলিস জানিয়েছে, ভারতীয় অর্থমন্ত্রকে কর্মরতা অনুরাধা শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি ফেরেন। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী দীনেশ ও এক আত্মীয় ফিরে প্রথম ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তাঁরাই পরে পুলিসে খবর দেন।
এমডিআরএল গ্রুপের ডাইরেক্টর তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী গোপাল কান্ডা গীতিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে। কান্ডা যে গীতিকার ওপর ক্রমাগত মানসিক চাপ বাড়াত সে কথা তিনি তাঁর সুইসাইড নোটেও উল্লেখ করেছিলেন। এমডিএলআর বিমান সংস্থার প্রাক্তন কর্মী গীতিকা শর্মার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গত ৫ অগাস্ট।
তদন্তে নেমে পুলিস জানাতে পারে, গীতিকা ও তাঁর পরিবার কান্ডার বেশ পরিচিত ছিলেন। গোপাল কান্ডা ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এক বার গীতিকার পরিবার ঘুরতে গিয়েছিল বলেও জানতে পারে পুলিস। গীতিকার মৃত্যুর পর কান্ডা ও অরুণা চড্ডাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার গীতিকার মা-এর মৃত্যুর পর নতুন করে আরও একটি তদন্ত শুরু করেছে ভারত নগর থানার পুলিস।
First Published: Saturday, February 16, 2013, 12:46